দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগ নেতা চাঁদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী আলহাজ মোঃ শামছুল হক ভূঁইয়াসহ ৪জনের বিরুদ্ধে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জে “গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রী কলেজে শিক্ষক নিয়োগে প্রতারণা , জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান, দুদকের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।
তিনি আরো জানান, দুদকের সহকারী পরিচালক মোঃ মহাতাব উদ্দিন বাদী হয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুমিল্লায় পৃথক মামলা ২টি দায়ের করেন।
জানা যায় ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের আমলে অস্বাভাবিক ক্ষমতাধর প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন আলহাজ মোঃ শামছুল হক ভূঁইয়া।
এদিকে দুদকের দায়ের করা একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জে “গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রী কলেজ” সহযোগী অধ্যাপক (ইতিহাস)/ লিয়েনে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোহেববুল্লাহ খান , (২) ওই কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সাবেক এমপি প্রকৌশলী আলহাজ মোঃ শামছুল হক ভূঁইয়া , (৩) ওই কলেজ পরিচালনা পর্ষদে শিক্ষক প্রতিনিধি প্রভাষক (নন এম পিও ভুক্ত) মোঃ বেলায়েত হোসেন খান ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিগণ একে অপরের সহযোগিতায় প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল ডকুমেন্ট সৃজন ও ব্যবহার করে মোহাম্মদ মোহেববুল্লাহ খানকে গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রী কলেজে প্রভাষক হিসেবে স্থায়ীপদে ১৯৯৯ সালের ২১ মার্চ থেকে নিয়োগ দিয়েছেন। তারা বিশ্বাসভঙ্গ ও অপরাধমূলক অসদাচরণ করে ওই তারিখ থেকে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি মোট ১ কোটি ২ লাখ ৭২ হাজার ১৭২ টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করেন।
আর এই অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/ ৪৬৮/৪৭১/৪৭৭(ক)/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে
দুদকের দ্বিতীয় মামলাটিতে প্রকৌশলী আলহাজ মোঃ শামছুল হক ভূঁইয়া , চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জে “গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রী কলেজ” প্রভাষক ও শিক্ষক প্রতিনিধি মোঃ বেলায়েত হোসেন খান, প্রভাষক (দর্শন শাস্ত্র) কানিজ ফাতেমাকে আসামি করা হয়।
এই মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিগণ একে অপরের সহযোগিতায় আসামি কানিজ ফাতেমার প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী না থাকা সত্ত্বেও গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রী কলেজে চাকুরির আবেদন করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অবৈধভাবে ’প্রভাষক’ পদে নিয়োগ দিয়েছেন। এর মাধ্যমে পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও অপরাধমূলক অসদাচরণ করে গত ১৯৯৯ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি মোট ৩১ লাখ ৭২ হাজার ৯০৫ টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করেছেন। আর এই অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। # কাশেম