দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
আলোচিত আদালতের জামিনের আদেশ জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগের মামলায় অভিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান ওরফে মাসুম মাতুব্বর, সুপ্রিম কোর্টের ক্লার্ক সহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
চার্জশিটভুক্ত অপর আসামীরা হলেন-সুপ্রিম কোর্টের ক্লার্ক মো. সাইদুর রহমান ওরফে ছাবদুল শেখ ও ক্লার্ক সিরাজুল ইসলাম এবং তদবিরকারক আব্দুল হেকিম। এদের মধ্যে সাইফুর রহমান ও ক্লার্ক সাইদুর রহমান কারাগারে আছেন। এছাড়া তদবিরকারক হেকিম ও অপর ক্লার্ক সিরাজুল পলাতক রয়েছেন। রোববার (২৯ জানুয়ারি) আদালতের শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নিজামুদ্দিন ফকির গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. নুরুজ্জামান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন। এ মামলায় দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামী ২ মার্চ এ বিষয়ে তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, পলাতক আসামি সিরাজুল ইসলামের জ্ঞাতসারে ও পরামর্শে আসামি আইনজীবী সাইফুর রহমান, আব্দুল হেকিম ও সাইদুর রহমান পরস্পর যোগসাজসে সোনা চোরাচালান মামলার ঘটনা আড়াল করেন। তরা বিমানবন্দর থানার ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-এর বি ধারায় অভিযুক্ত আসামি সিরাজুল ইসলামের জামিনের জন্য ৯ কেজি ২৭৪ গ্রাম সোনা চোরাচালান মামলার ঘটনা আড়াল করেন। একই সঙ্গে ৩৫ হাজার ৩০০ ভারতীয় মুদ্রা এবং ৬৫ হাজার ৪০০ টাকা পাচারের কাগজপত্র মামলার এফআইআর, এজাহার ও জাবেদা নকল তৈরি করে প্রতারণামূলকভাবে আদালতে উপস্থাপন করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় ৯ কেজি ২৭৪ গ্রাম সোনা চোরাচালানের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় গ্রেফতার পর একমাত্র আসামি সিরাজুল ইসলাম দীর্ঘদিন কারাগারে আটক ছিলেন। তাকে কারামুক্ত করার জন্য মামলার তদবিরকারক আব্দুল হেকিম সুপ্রিম কোর্টের ক্লার্ক মো. সাইদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর সোনা চোরাচালানের মামলার বিষয়টি আড়াল করে পরস্পর কারসাজির মাধ্যমে হাইকোর্টে থেকে মুদ্রা পাচার আইনের মামলায় আসামি সিরাজুলের জামিন করেন আইনজীবী সাইফুর রহমান। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ২৭ আগস্ট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সহকারী রেজিস্ট্রার (ফৌজদারী আপিল শাখা) মো. সিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। #