দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
যুদ্ধাপরাধী মামলায় কারবন্দি জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির ও পাবনা-৫ আসনের সাবেক এমপি মাওলানা আবদুস সুবহান (৮৪) মৃত্যূ বরন করেছেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মাওলানা সুবহান প্রায় সাত বছর ধরে কারান্তরীণ ছিলেন।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ১টা ৩৩ মিনিটের সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মরহুমের পরিবার থেকে খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
মাওলানা আবদুস সুবহানের আত্মীয় গোলাম হাদী সাঈদী গণমাধ্যমকে জানান, আবদুস সুবহান কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন। দীর্ঘদিন কারাগারে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গত বছরের ২২ জুলাই কারাগারের বাথরুমে পড়ে আহত হন তিনি। এরপর থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত ২৪ জানুয়ারি আবদুস সুবহানকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি।
লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে জানিয়ে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রয়েছে।
হাসপাতাল ও কারাগারের আনুষ্ঠানিকতা শেষে জামায়াত নেতা আবদুস সুবহানের লাশ পাবনা নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানেই তার দাফন সম্পন্ন হবে।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের এই প্রভাবশালী নেতাকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে প্রাণদণ্ড দেয় মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
প্রসিকিউশনের আনা ৯টি অভিযোগের মধ্যে ছয়টি প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাকে ফাঁসির রজ্জুতে ঝুলিয়ে দণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
রায়ের দিন সুবহানকে নির্দোষ দাবি করে তার ছেলে নেছার আহমদ নান্নু বলেছিলেন– রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে।
মাওলানা সুবহানের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সুজানগর থানার মানিকহাটি ইউনিয়নের তৈলকুণ্ডি গ্রামে। তার বাবার নাম শেখ নাঈমুদ্দিন, মায়ের নাম নুরানী বেগম। #