দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব গ্রহণ করেই ঢাকা ওয়াসার আর্বজনা পূর্ণ ৩টি খাল ও দুই বক্স কালভার্ট পরিষ্কারের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস।
মেয়র তাপস আগামী শনিবার (২ জানুয়ারি) নতুন বছরের দ্বিতীয় দিন থেকে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছেন। তিনি বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতার অন্যতম ও পুরনো ৩টি খাল- ‘জিরানি খাল, মান্ডা খাল ও শ্যামপুর খাল এবং পান্থপথ বক্স কালভার্ট এবং সেগুন বগিচা বক্স কালভার্টে দীর্ঘদিনের স্তুপকৃত বর্জ্য অপসারণের অভিযান শুরু হবে।
মেয়র বলেন, আগামী মার্চের মধ্যে এই তিনটি খাল ও দুটি বক্স কালভার্ট থেকে সব বর্জ্য অপসারণ করার কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মেয়র তাপস বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে রুপসী বাংলা গ্রান্ড বলরুমে অনুষ্ঠিত এক
সভায় নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব গ্রহণের পরই এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। নগরীর বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে ঢাকা দক্ষিণ এবং ঢাকা উত্তর সিটির মেয়রকে হস্তান্তর উপলক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুনিদিষ্ট কর্মপরিকলাপনা ঘোষণা করেন মেয়র তাপস।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, “এই তিনটি খালের দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ কিলোমিটার এবং বক্স কালভার্টগুলোর কি অবস্থা, কাজ শুরু না করলে বুঝতে পারব না। আগামী মার্চের মধ্যে এই তিনটি খাল ও দুটি বক্স কালভার্ট যদি আমরা পরিষ্কার করতে পারি,তাহলে আগামী জুন নাগাদ বাকী খালগুলো পরিস্কারের কাজ শুরু করা হবে।”
ডিএসসিসি মেয়র তাপস আরও বলেন, “আমরা এরইমাঝে কালু নগর খালে একদফা কিছু পরিষ্কার করেছি। বাকিটা আমরা পরিষ্কার করব। আমরা আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল ধরব, ধোলাই খালের বক্স কালভার্ট ধরব। পর্যায়ক্রমে আগামী জুন মাস নাগাদ আমরা এগুলো সব পরিষ্কার করার বিশাল কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছি এবং আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে। আমরা বসে নেই। আমরা যদি মন্ত্রণালয়ের কাছে টাকা চাই, প্রকল্প নির্ভর কাজ করতে চাই, তাহলে দেখা যাবে আগামী দুই বছরের মধ্যে কাজ আরম্ভ করতে পারব না। এজন্য আমরা ইতোমধ্যে নিজ অর্থায়নে কাজগুলো আরম্ভ করছি”।
তিনি বলেন, “আমরা এই খালগুলোর যেমনি সীমানা নির্ধারণ তেমনি অবৈধ সব দখল উচ্ছেদ এবং উচ্ছেদ করার পর সেই জায়গাগুলোর সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচালনা এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে”।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন,আজকের দিনটি ঢাকাবাসীর জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। “দু’টি কারণে আজকের দিনটি ঐতিহাসিক – একটি হলো ঢাকা ওয়াসার নিকট থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনের গুরুদায়িত্ব সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর; দ্বিতীয়টি হলো ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। আর ইচ্ছা ও উপায়ের সেতুবন্ধন হলো রাজনৈতিক নেতৃত্ব”।
মেয়র তাপস বলেন, “কাল থেকে মনে হবে, এটা তো খুব সহজ ছিল। এমনি এমনি হয়ে গেছে। আসলে কোন কিছুই এমনি এমনি হয় না। ৬০০ ডলার থেকে এমনি এমনি ২ হাজার ডলার মাথাপিছু আয় আমরা অর্জন করেছি, এটা (এমনি এমনি) সম্ভব না।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমান উল্লাহ নুরী,ঢাকা উত্তরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিশ রেজা, ও ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। /