দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে, দেশে লকডাউন নিয়ে লুকোচুরি খেলা চলছে। এর ফলে মৃত্যুর মিছিল প্রতিনিয়ত দীর্ঘ হচ্ছে। অন্যদিকে এনজিও গুলির গ্রাহকদের নিকট থেকে কিস্তি উত্তোলনে অব্যাহত চাপ, সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে গ্যাস-বিদ্যুত বিল প্রদানে তারিখ নির্ধারনে বাড়িওয়ালারাও ভাড়াটিয়াদের উপর বকেয়া ভাড়া পরিশোধে চাপ প্রয়োগ করছে।
ফলে সমাজে নানা ধরনের জটিল সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। কর্মহীন মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে হতাশা ফলে জনমনে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। যে অন্তোষের বিষ্ফোরন ঘটলে সরকারের জন্য শুভ কোন ফল বয়ে আনবে না বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামি পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
রোববার (২১ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, করোনা মহামারি কেড়ে নিচ্ছে এই সবুজ-শ্যামল বাংলাদেশের আনন্দ কোলাহল। মানুষের স্বাভাবিক জীবনে ঘটেছে ছন্দপতন ঘটছে প্রতিনিয়ত।
আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন এখনও মৃত্যুর হার এষনও কম। তখন প্রশ্ন জাগে আমরা আর কত মৃত্যু ধারণ করব? এৃত্যুর সংখ্যা কত হলে মন্ত্রীর কাছে তা অস্বাভাবিক বলে মনে হবে ? নিত্যদিনের শোকবার্তায় জাতি উদ্বিগ্ন। এত মৃত্যু, এত সংক্রমণ তারপরও কি শাসকগোষ্টির বোধোদয় হবে না?
নেতৃদ্বয় বলেন, অঞ্চলভিত্তিক বা জোনভিত্তিক লকডাউনের উদ্দেশ্য সফল করতে হলে সরকারকে আরো কঠিন হতে হবে। মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের খাবারের নিশ্চয়তা দিতে হবে। তাদের ঘরে ঘরে খাদ্য প্যেছে দিতে হবে সরকারের পক্ষ থেকে। ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের নব্যইষ্টইন্ডিয়ার মত এনজিওদের কিস্তি উঠানো বন্ধ করতে হবে।
বকেয়া বিদ্যুত-গ্যাস-পানির বিল প্রদানের বাড়িওয়লাদের বাধ্য না করে আরো কমপক্ষে তিন মাস পর্যন্ত সময় বর্ধিত করতে হবে। অন্যথায় কথিত লকডাউনতো সফল হবেই না বরং সমাজে নানা ধরনের দুঘর্টনা ঘটবে, জনঅন্তোষ সৃষ্টি হবে। যার ফল সরকারের জন্য খুব বেশী কল্যাণকর হবে না।
ন্যাপ নেতৃদ্বয় এ মুহূর্তে করোনা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিদ্যমান স্থানীয় সরকারের সাথে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার, সাংবাদিক, স্থানীয় এনজিও, শিক্ষক, সমাজসেবী, রাজনৈতিক কর্মী-সংগঠক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বসহ সকল কর্ম ও পেশার প্রতিনিধি সম্পৃক্ত করা জরুরি।
তারা বলেন, গত তিন মাসে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যেই তথাকথিত এনজিও কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে কিস্তি উত্তোলনের নামে বিভিন্ন স্থানে গ্রাহকদের উপর চাপ প্রয়োগ করছে। অন্যদিকে সরকার ৩০ জুনের মধ্যে বিদ্যুত-গ্যাস বিল দেয়ার জন্য সময় নির্ধারন করে দিয়েছে। ফলে সমাজে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে।
এই অস্থিরতার ফলে জনঅন্তোষ সৃষ্টি হলে তার দায় সরকারকেই বহন করতে হবে। আজ এই দুঃসময়ে এই সকল অপতৎপরতা বন্ধ করে করোনা মোকাবেলায় সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।