দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন চট্টগ্রাম পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনকালে অব্যবস্থাপনা দেখে ক্ষুব্ধ হন। পরে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে অপরিষ্কার ও নানা অব্যবস্থাপনা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। এ ঘটনায় তিনি তৎক্ষণাৎ দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেন। তারা হলেন বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শামস মো. তুষার ও স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে পুরোনো রেলওয়ে স্টেশনে প্রস্তাবিত কল্যাণ ট্রাস্টের জায়গা পরিদর্শনের সময় এ ব্যবস্থা নেন মন্ত্রী।
এর আগে চট্টগ্রামে পুরোনো রেলস্টেশন থেকে নতুন রেলস্টেশন পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় রেলমন্ত্রী অবৈধভাবে পার্কিং করা গাড়ি ও যত্রতত্র দোকানপাট দেখে ক্ষেপে যান। তৎক্ষণাৎ তিনি ওই দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ দেন।
এদিকে পরিদর্শন শেষে সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিংয়ে (সিআরবি) হাসপাতাল নির্মাণ ইস্যুতে সাংবাদিকদের রেলমন্ত্রী বলেন, সিআরবিতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) চুক্তির আওতায় হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে আমরা বিভিন্ন অভিযোগ পেয়েছি। এগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে এ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে মন্ত্রী-এমপিরা যদি হাসপাতাল না চান, তবে প্রধানমন্ত্রীও চাইবেন না। রেল মন্ত্রণালয়েরও সেটার বিরোধিতা করার সুযোগ নেই। কালুরঘাট রেলসেতুর বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটির নকশা প্রণয়নের কাজ হচ্ছে। নৌ-যান চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট উচ্চতায় নির্মাণ করা হবে সেতু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রেল সচিব মো. হুমায়ুন কবির, ডিজি ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের জিএম জাহাঙ্গীর হোসেন, অ্যাডিশনাল জিএম মুরাদ হোসেন ও প্রধান প্রকৌশলী মো. সুবক্তগীন প্রমুখ।#