দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামে করোনায় লকডাউনের সময়ে বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিল প্রদান। পরে দুদক অভিযোগ কেন্দ্র ১০৬-এ অভিযোগ দায়েরের পর দুদকের হস্তক্ষেপে বিদ্যুতের ওই ভূতুড়ে বিল দ্রুত সংশোধন করা হয়েছে। (বুধবার ৯ সেপ্টেম্বর) দুদকের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, দুদক অভিযোগ কেন্দ্র-১০৬ এ জনৈক অভিযোগকারী অভিযোগ করেন যে, করোনাকালীন লকডাউন সময়ে তার দোকানের মিটার রিডিং না দেখে ভূতুড়ে বিল প্রদান করা হয়েছে।
অভিযোগ আমলে নিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, সাউথ জোনকে অভিযোগের ব্যপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত পত্র প্রদান করে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। ঐ পত্রের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর অভিযোগটি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়।
দপ্তরটি নিশ্চিত হয় করোনাকালীন(কোভিড-১৯) সময়ে অভিযোগকারীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত মিটার রিডার মিটার রিডিং না নিয়েই ভূতুরে বিল প্রস্তুত করেছেন।
এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রামের পাথরঘাটা অফিস-অভিযোগকারীর সাথে দ্রুত যোগাযোগ করে তার অতিরিক্ত বিল কমিয়ে বিল সংশোধন করে এবং এরকম অনিচ্ছাকৃত ভুল ভবিষ্যতে আর ঘটবে না মর্মে প্রতিশ্রুতি প্রদান করে।
দুদক কর্মকর্তা আরো জানান, আপরদিকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, কাটাবাড়ি শাখা, গাইবান্ধাতে বয়স্ক ভাতার হিসাব খোলার জন্য ব্যাংকের একজন পিয়ন কর্তৃক নির্ধারিত ফি ১০ টাকার পরিবর্তে ১১০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ গৃহীত হয় দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে।
গৃহীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা ম্যানেজার সাথে টেলিফোনিক আলোচনায় দ্রুত অভিযোগের ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।
দুদকের টেলিফোনিক নির্দেশনা আমলে নিয়ে অভিযুক্ত পিয়নকে তাৎক্ষণিক বদলি ও ভবিষ্যতে এ ধরণনর কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়। # কাশেম