দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক:
বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে কেজি ৪২ টাকায় কেনা পেঁয়াজ ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রির প্রমাণ পাওয়ায় খাতুনগঞ্জের দুই আড়তদারকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হওয়া অভিযান চলে বেলা আড়ইটা পর্যন্ত। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
এসময় খাতুনগঞ্জের মেসার্স শাহ আমানত ট্রেডার্সকে এবং মেসার্স আজমীর ভান্ডারকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এর মধ্যে শাহ আমানত ট্রেডার্সে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম তাদের মূল্য তালিকা এবং বিক্রয়মূল্য যাচাই করেন। সেখানে দেখা যায়, ৪২ টাকা কেজি দরে কেনা মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি করছে ৬৫ টাকায়।
এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলাকালে বৌ বাজার হতে পেঁয়াজ কিনতে আসা নুর মোহাম্মদ নামে এক খুচরা ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেসার্স আজমীর ভান্ডারে গিয়ে মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৭০ টাকায় বিক্রির প্রমাণ পান।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের সতর্ক করে বলা হয়েছে- যদি আবার এরকম ঘটনার প্রমাণ মেলে, তাহলে আড়ত সিলগালা করে পেঁয়াজ বাজেয়াপ্ত করা হবে।
কিছু কমিশন এজেন্ট এই দাম নৈরাজ্যের সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে তৌহিদুল ইসলাম বলেন, তাদের সম্পর্কে খোঁজ নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নাম-ঠিকানা দিয়েছি। বাড়তি দামে যেসব আমদানিকারক বিক্রি করতে বলেছে, তাদের নামও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১ অক্টোবর খাতুনগঞ্জে অভিযানের সময় পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখার অঙ্গীকার করেছিলেন খাতুনগঞ্জের আড়তদাররা। এরপর পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও চলতি সপ্তাহে আবার বাড়তে শুরু করে।
অভিযানের পর খাতুনগঞ্জ বাজারে মিয়ানমারের পেঁয়াজ কেজি ৫০-৫৫ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এদিকে খুচরা বাজারে এখনো ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকা এবং মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। #