দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের রেলওয়ের জমি দখল করে মার্কেট ও দোকান নির্মাণ এবং রেলওয়ের ট্রেনিং সেন্টারে অবৈধভাবে ভাড়া দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান দুদকের জনসংযোগ বিভাগ। তারা আরো জানান, অভিযানকালে দুদক টিম বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল), চট্টগ্রাম অফিসে গিয়ে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ড পর্যালোচনা করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রেলওয়ের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ এবং রেলওয়ের ট্রেনিং সেন্টারের বাংলো অবৈধভাবে দখলে রাখার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন।
দুদক টিম রেলের জমি দখলমুক্ত করার এক সপ্তাহের উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়। রেলের ট্রেনিং সেন্টারের বাংলো অবৈধভাবে দখল করে ও তা ভাড়া দিয়ে অর্থ আত্মসাতের সাথে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার সুপারিশ করে টিম কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, এদিকে বরিশাল বিভাগীয় পরিসংখ্যান অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পৃথক অভিযান চালিয়েছে দুদক। বরিশাল দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে অপর একটি অভিযান পরিচালিত হয়।
টিম বিভাগীয় পরিসংখ্যান অফিস থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিল ভাউচার ও অন্যান্য রেকর্ডপত্র পর্যালোচনান্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। সংগৃহীত বিল ভাউচারসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক দুদক টিম শীঘ্রই কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে।
রংপুর সদর এর সাব-রেজিস্টার ও দলিল লেখকসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ভুয়া সিএস, এসএ, আরএস রেকর্ড তৈরি করে ব্যাংক থেকে লোন নেয়া এবং বিআরটিএ, রংপুরের অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গাড়ির লাইসেন্স প্রদানের নামে ঘুষ দাবির অভিযোগে দুদক, রংপুর জেলা কার্যালয়; সরকারি আউটার ডিসপেনসারি, জিগাতলা, ধানমন্ডি, ঢাকা’র কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রোগীদের চিকিৎসা সেবা না দেয়া ও সরকারি ঔষধ সরবরাহ না করে সেবা প্রত্যাশীদের হয়রানির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা এবং চুনারুঘাট থেকে গাজীগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, হবিগঞ্জ থেকে আরও ৪টি অভিযান পরিচালনা করে দুদক।
এদিকে, দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে আগত বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক প্রতিবেদনের মাধ্যমে কমিশনকে অবহিত করার নিমিত্তে পুলিশ সুপার-যশোর, জেলা কমান্ড্যান্ট (আনসার)-চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জেলা কমান্ড্যান্ট (আনসার)-চট্টগ্রাম, মহাপরিচালক-স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সচিব-কৃষি মন্ত্রণালয় বরাবর পত্র প্রেরণ করেছে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। #