দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
পূবালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে, জালিয়াতি, প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মামধ্যমে গ্রাহকের ৬ লাখ টাকা আত্মসাতের সুনিদিষ্ট অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ পরিচালক আক্তারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুদকের সহকারী পরিচালক মাসুম আলী বাদী হয়ে দুদকের কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লায় পূবালী ব্যাংকের পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড শাখা থেকে ৬ লাখ টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ, অপরাধের আলামত/সাক্ষ্য-প্রমাণ নষ্ট করে দÐবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৯/২০১/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার ৫ আসাম হলেন, কুমিল্লার পাদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে পূবালী ব্যাংক শাখার জুনিয়র ক্যাশ অফিসার বিশ্বজিৎ কুমার পাল, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. জাহিদ হোসেন চৌধুরী, ব্যাংকটির ঝাড়ুদার তাপস কুমার দাস (বহিষ্কৃত), সাবেক সিনিয়র আর্মড গার্ড মো. এরশাদুল হক ও মো. মহিউদ্দিন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, নজরুল নামের একজন গ্রাহক ওই শাখায় ২০১৬ সালে একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলেন। ২০২০ সালে তিনি ২৫ পাতার একটি চেক বই গ্রহণ করেন। তিনি চেক বইটির চেক নং-৪১৬৪২৫২ ও চেক নং-৪১৬৪২৫৩ যথাক্রমে ২০২০ সালে ২৯ ও একই সালের ৮ ডিসেম্বর নগদায়ন করলেও চেক নং-৪১৬৪২৫১ তিনি ব্যবহার করেননি। তিনি পড়াশোনা জানতেন না এবং ব্যাংকের যাবতীয় কাজ উক্ত ব্যাংকের কর্মচারী ঝাড়ুদার আসামী তাপস কুমার দাসকে দিয়ে করিয়ে নিতেন। গ্রাহক নজরুল পড়াশোনা না জানায় এবং ব্যাংকের বিষয়ে কম বুঝার সুযোগ নিয়ে তাপস কুমার দাস নজরুলের চেক বই থেকে লেনদেনে তাকে সহযোগিতার সময় উদ্দেশ্যমূলকভাবে ১টি চেক (চেক নং-৪১৪৬২৫১) ছিঁড়ে নিজের কাছে রেখে দেন, যা গ্রাহক নজরুল বুঝতে পারেননি। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি ওই চেক ব্যবহার করে ৬ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন উল্লেখিত আসামীরা।
উল্লেখ্য, এ বিষয় পুলিশ কর্তৃক মামলা রুজু ও চার্জশিট হলেও তা আদালত গ্রহণ না প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগটি দুদকে প্রেরণ করেন। যদিও ঘটনার পরপরই আসামী তাপস কুমার দাস, মহিউদ্দিন এবং মো. এরশাদুল হককে গ্রেগ্রফতার হয়েছিলেন। তাদের কাছ থেকে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৮০০ টাকা উদ্ধার করেছিল পুলিশ। #কাশেম