দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলার কার্যক্রম স্থগিতের রুল দ্রæত শুনানির জন্য হাইকোর্টে সংশ্লিষ্ট বেে দুদকের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে। বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান এ বিষয়ে আবেদন দাখিল করেন।
বুধবার (২০ জুলাই) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত বরেছেন। এ বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি জাহিদ সারোয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত বেে মামলাটি শুনানি করার জন্য আবেদন জানান আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যে মামলাটি হাইকোর্ট স্থগিত করেছিলেন, ওই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যাওয়ার পর আপিল বিভাগ দুই মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। মামলার অপর আসামীরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান।
তিনি আরও বলেন, ড. ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে দায়ের করা মামলার আইনজীবী মারা যাওয়ায় অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান মামলাটি পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। এই মামলায় হাইকোর্ট রুল চলমান থাকা অবস্থায় ওই আইনজীবী তিনি মারা যান। ‘ ওই কারণে অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান আজ আদালতে একটি আবেদন দাখিলের অনুমতি চেয়েছি। আর আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
যেহেতু আপিল বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে দুই মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য, সেই আদেশের কপিটি আমরা আদালতের কাছে দাখিল করলাম। তখন আদালত বললো আপনাকে অনুমতি দেওয়া হলো অ্যাফিডেফিড করার জন্য। মামলাটি কালকে (২১ জুলাই) তালিকায় থাকবে বলে আদালত জানান।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে গত ৭ জুন নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
মামলার বিবরণ উল্লেখ, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। পরে মামলার বিবাদীদের হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। পরে এ মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূস।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১২ ডিসেম্বর মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলাটি কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আপিল বিভাগ সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে দুই মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে আদেশ দেন। সেটিই শুনানি করতে আজকে আবেদন করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। #