দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
দেশের বর্তমান করোনাভাইরাসের পরিস্থিতিতে কর্মহীন ,অসহায়, গরীবের ত্রাণসামগ্রী চুরি , বিতরণেঅনিয়ম কিংবা আত্মসাতকারী জনপ্রতিনিধি কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল ) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় রাজউক, ঢাকা ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কয়েকটি খাল পরিদর্শনকালে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এই ঘোষণা দেন।এসময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবনির্বচিত মেয়র আতিকুল আতিকুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. জামাল মোস্তফা, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিন এ খান,ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপানা কর্মকর্তা কমোডর এম মঞ্জুর হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহঃ আমিরুল ইসলাম (পিএসসি ) ,অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শারীফ উদ্দীন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়েন, রাজউকের চেয়ারম্যান মো: সাঈদ নূর আলম, উপ প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মফিজুর রহমান ভূইঁয়া, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও মহামারি থেকে রক্ষা পেতে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। এ অবস্থায় দেশের প্রান্তিক গরীব জনগোষ্ঠীর জন্য সরকার প্রদত্ত খাদ্য সহায়তা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বণ্টন করা হচ্ছে। এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে যদি কোনো অনিয়ম খুঁজে পাওয়ার সাথে সাথে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। ত্রাণ চোরদের কোনো ধরণের অনুকম্পা দেখানো হবে না।’
তিনি বলেন, ‘অনিয়ম বা ত্রাণ আত্মসাতের সাথে জড়িত বেশ কিছু জনপ্রনিধিকে ইতোমধ্যে আমরা বহিষ্কার করেছি, শুধু বহিষ্কার নয়, নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে ফৌজদারি আইনে মামলার মুখোমুখিও করা হয়েছে,’।
খাল পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীর চারপাশে দিয়ে বয়ে যাওয়া খালগুলো বর্ষার আগে পরিষ্কার রাখার কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। করোনার বিস্তারের এ পরিস্থিতিতে পানি নিষ্কাশন ও ডেঙ্গু মশার প্রাদুর্ভাব যাতে নগরবাসীর জন্য বাড়তি সমস্যার কারণ না হয় সেজন্য আমরা খালগুলো পরিষ্কারের উপর জোর দিয়েছি।’ # কাশেম