দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক:
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিমের নিকট ওই মন্ত্রণালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম ও দুর্নীতির ১০টি উৎস উল্লেখ করে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেছে দুদকের কর্মকর্তারা।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে গিয়ে দুদকের কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান এই প্রতিবেদন মন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
ওই সময় দুদক কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান বলেন, জনশ্রুতি রয়েছে এমন দুর্নীতিপ্রবণ ২৫ টি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে পর্যবেক্ষণমূলক প্রতিবেদন প্রণয়নের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করে।
টিমগুলো এসব প্রতিষ্ঠানের আইন, বিধি, পরিচালন পদ্ধতির দুর্বলতা, গাফিলতি, সরকারি অর্থ অপচয়ের দিকসমূহ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সীমাবদ্ধতা, প্রতিবন্ধকতা ও দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে কতিপয় সুপারিশ সম্বলিত এসব প্রতিবেদন প্রণয়ন করছে। এটি কমিশনের ১৫তম প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন ।
সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন, অডিট রিপোর্ট, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক টিমের নিজস্ব মতামতের সমন্বয়ে এই প্রদিবেদনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি পর্যবেক্ষণমূলক ও যৌক্তিক প্রতিবেদন।
তিনি বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় প্রাক্কলন থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যন্ত প্রতিটি স্তরেই নিবিড় মনিটরিংয়ের প্রয়োজন কারণ এসব ক্ষেত্রে দুর্নীতির ব্যপকতা রয়েছে। এমনকি ইজিপি প্রক্রিয়ায়ও ঠিকাদার-কর্মকর্তার যোগশাজশের ঘটনা ঘটছে।
তিনি বলেন, যেসব কর্মকর্তার নৈতিকতার বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে , তাদেরকে বড় বড় প্রকল্পে নিয়াগ না দেওয়াই সমীচীন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক কমিশনার বলেন, ছোট-বড় বুঝি না দুর্নীতি করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
এসময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ.ম.রেজাউল করিম কমিশনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, কমিশনের এই প্রতিবেদন আমাদেরকে গাইডলাইন প্রদান করবে-যা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কাজ করবে।
তিনি বলেন , প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতি অনুসরণ করছেন। আমি তাঁর কেবিনেটের একজন সদস্য হিসেবে দুর্নীতিকে ন্যূনতম সহ্য করবো না। আমি তাঁর এই নীতিকে শতভাগ ধারণ করি। এবং তা বাস্তবায়নের জন্য নিবেদিত থাকব। #