দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে ও তার স্ত্রী মিসেস গোপা দে-এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমান অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৫ আগস্টা ) দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী বাদী হয়ে ওই দুই আসামির মামলা দুইটি দায়ের করেন। প্রথম মামলায় ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৮ হাজার ৭৫৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহিভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিসেস গোপা দে স্বামী- উৎপল কুমার দে এবং (২) উৎপল কুমার দে কে আসামি করা হয়েছে ।
প্রথম মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে দুর্নীতির মাধ্যমে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৮ হাজার ৭৫৪ টাকার জ্ঞাত আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করে তা নিজেদের ভোগ দখলে রেখে উক্ত সম্পদ বৈধ করার অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময়ে রুপান্তর,স্থানান্তর ও হস্থান্তর করেছেন।
যা মানি লন্ডারিং এর মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় এবং মানি-লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারাসহ দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মামলার অভিযোগে আরো বলা হয়, গোপা দে’র নামে বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থের লেনদেন হয়েছে মর্মে দেখা যায়। প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণ ও অন্যান্য পারিপাশির্^ক বিষয়াদি পর্যালোচনা করে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, ১নং আসামী মিসেস গোপা দে ২নং আসামী স্বামী- উৎপল কুমার দে-এর প্রত্যক্ষ যোগসাজসে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৮ হাজার ৭৫৪ টাকার জ্ঞাত আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ অবৈধ সম্পদ অর্জন পূর্বক তাদের ভোগ দখলে রেখেছেন।
দ্বিতীয় মামলায় উল্লেখ্য :
গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমান অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক একটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী বাদী হয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে এর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে দুর্নীতির মাধ্যমে ১ কোটি ১৮ লাখ ১৭ হাজার ৯০৩ টাকার জ্ঞাত আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করে তা নিজেদের ভোগ দখলে রেখেছেন। আসামির অর্জিত সম্পদ বৈধ করার অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময়ে রুপান্তর/স্থানান্তর/হস্থান্তর করেছেন।
যা দুনীতি দমন কমশিন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) (৩) ধারায় শাস্তিÍযোগ্য অপরাধ করছেনে । # কাশেম