দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহায়ক (পিয়ন) এম সোহেল আরমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামের ইস্যু করা চেক জালিয়াতির ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের সুনিদিষ্ট অভিযোগ মামলা দায়ের করেছে দুদক। খুলনা জেলা প্রশাসক ইয়াসির আরেফীন এবং ‘সৈয়দপুর ট্রাস্ট এস্টের সদস্য সচিব সিফাত মো. ইশতিয়াক ভুঁইয়ার স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের সুনিদিষ্ট অভিযোগে গত ৯ অক্টোবর দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৮/৪৭১/ ৪৭৭(ক) এবং ১৯৪৭ সালে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করেছে দুদকের মহকারী পরিচালক তরুন কান্তি ঘোস।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ পরিচালক আক্তারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, খুলনা জেলার কয়রার, মহেশ্বীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস প্রেষনে কর্মরত ছিলেন আসামী অফিস সহায়ক এম সোহেল আরমান ,বর্তমানে বরখাস্ত। খুলনা জেলা প্রশাসক ( ট্রাস্টি) ইয়াসির আরেফীনের স্বাক্ষর জাল করে সৈয়দপুর ট্রাস্ট এস্টের ৬টি চেকের মাধ্যমে ৭ লাখ টাকা, জেলা প্রশাসকের প্রকৃত স্বাক্ষিতর ৫টি চেকের টাকার অংকের বাম পাশে অতিরিক্ত অংক বসিয়ে আরও ৮ লাখ টাকা উত্তোলন করেন আসামী এম সোহেল আরমান।
এছাড়াও সৈয়দপুর ট্রাস্ট এস্টের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর ও সদস্য সচিব সিফাত মো. ইশতিয়াক ভুঁইয়ার স্বাক্ষর জাল করে এবং ভুয়া চিঠি তৈরি করে ‘এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি’ খুলনা শাখায় রক্ষিত স্থায়ী আমানত ৭৫ লাখ টাকা থেকে ২৫ লাখ টাকা আসামীর নিজ নামে ‘সোনালী ব্যাংক পিএলসি’ স্যার ইকবাল রোড ,খুলনা শাখায় স্থানান্তেরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। সবগুলো চেকই আসামীর নামের সোনালী ব্যাংকের ওই শাখায় জমা দিয়ে পরে উত্তোলনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।
দুদকের মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আসামী এম সোহেল আরমান গত ২ মে ‘সৈয়দপুর ট্রাস্ট এস্টের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর ও সদস্য সচিব সিফাত মো. ইশতিয়াক ভুঁইয়ার স্বাক্ষর জাল করে এবং ভুয়া চিঠি তৈরি করে ‘এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি’ খুলনা শাখার নামে রক্ষিত (হিসাব নম্বর-০১৩১৪-৭৩০০০০০০৯১) স্থায়ী আমানত ৭৫ লাখ টাকা থেকে ২৫ লাখ টাকা আসামী এম সোহেল আরমানের নামে ‘সোনালী ব্যাংক পিএলসি’ স্যার ইকবাল রোড ,খুলনা শাখায় (হিসাব নম্বর-২৭২৭৬০১০০৬৭৯৫) স্থানান্তেরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। # কাশেম