বিশেষ প্রতিনিধি, দূরবীণ নিউজ :
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মধ্যেই সবকিছুর মুক্তি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মাতা বেগম বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হলে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে, ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারের পতন হবে, জনগণ মুক্তি হবে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন এবং আমাদের সকল নেতাকর্মীর মুুক্তি হবে। তাই আমরা এক কথা বলি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। সুতরাং আন্তরিকতা একটা জায়গায় থাকি।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় নেতা-কর্মীদের সমাবেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ মন্তব্য করেন।
‘বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও সাজা বাতিল এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব সহ কারাবন্দী নেতৃবৃন্দের’ মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির খুলনা বিভাগের নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও দলের সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপি নেতা আজিজুল বারী হেলাল, শিক্ষা সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, ঢাকা উত্তর বিএনপির বজলুল বাসিত আঞ্জু, অমলেন্দু দাস অপু, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, নেওয়াজ হালিমা আরলি, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুণ, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির অধ্যক্ষ সোহরাব হোসেন, যুবদলের সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, গোলাম মাওলা শাহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, এসএম জিলানী, যুবদলের তরিকুল ইসলাম রনি ও ছাত্রদলের আমিনুর রহমান আমিন প্রমুখ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শুনি সংবাদপত্রে স্বাধীনতা নেই- এটার সাথে একমত নই। তারা তো গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা মানুষগুলোর বিরুদ্ধে লেখার ক্ষেত্রে স্বাধীন। শুধু তারা সরকারের সমালোচনা করতে পারে না, করলে তাদের পত্রিকার ডিকলারেশন বাতিল হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনি যদি রাজপথের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকারীদের সমালোচনা করেন, বিভ্রান্ত করেন, দুর্বল করেন, তাহলে কীভাবে গণতন্ত্র ফিরবে এবং আপনার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরবে? এটা করা মানে ফ্যাসিবাদকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করা। এখন কোনটা করবেন?
সংবাদপত্রের কথা যদি জনগণ বিশ্বাস করত তাহলে বিএনপি পাঁচ বার ক্ষমতায় আসতো না বলে মন্তব্য করেন এই নেতা। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা যদি আন্তরিকতার সাথে রাজপথে থাকি তাহলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সফল হবেন।
বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার নির্যাতন,গুম খুনের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, আপনি আমাদের যাকে খুশি জেল দিয়ে দেন। কিন্তু শর্ত একটা বাংলাদেশে একটা নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্র্বাচন দিন। দেখবেন আমাদের তৃতীয় ধাপের কর্মী বিজয়ী হয়ে আসবে। বাংলাদেশের মানুষকে ভোট দিতে দেন। আপনি আছেন খুটার জোরে। কিন্তু খুটা যে উপরে ফেলব, তাও সীমান্তের ওপারে।
অনুষ্ঠানে যুবদলের সামছুর রহমান, আতিকুর রহমান আতিক, নুরুজ্জামান লিটন (খুলনা বিভাগ), কাজী মন্জুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের জামির হোসেন, ডি জেড এম হাসান বিন সফিক সোহাগ, সহ-সাধারণ সম্পাদক কাজী ইফতেখায়রুজ্জামান শিমুল, মুস্তাফিজুর রহমান বাচ্চু, গালিব ইমতিয়াজ নাহিদ, কামরুজ্জামান জাপান, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় নেতা হারুন-অর-রশীদ, সাহাবুদ্দিন সাবু, ছাত্রদলের পার্থ দেব মন্ডল, মাজেদুল ইসলাম রুমন, আক্তারুজ্জামান আক্তার, ওলামা দলের প্রিন্সিপাল নজরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, আলমগীর, মন্জুরুল ইসলাম মন্জু , তাঁতীদলের ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বাগেরহাট জেলা বিএনপির লায়ন ফরিদ, মন্জুর মোর্শেদ স্বপন, সরিফুল ইসলাম লিটু, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রুনা গাজী (চিতলমারী) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এডিজেড/একে/দূরবীণ নিউজ