নিজস্ব প্রতিবেদক:
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বচানে প্রার্থী হতে পারবেন না। তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বে গত ২২ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ের নির্দেশনা এবং পর্যক্ষেণে এসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের নানা প্রশ্নের জবাবে দুদকের প্রধান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমসহ সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
খুরশীদ আলম খান বলেন, হাইকোর্ট গত রোববার প্রকাশিত রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, সাজা কখনও স্থগিত হয় না। উপযুক্ত আদালতে সাজা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সুযোগ নেই। এ রায়ের আলোকে বেগম খালেদা জিয়া, হাজী সেলিমসহ দুই বছরের বেশি সাজা প্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কারণ তাদের সাজা বাতিল হয়নি। যদি হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগ সংশোধন করেন বা বাতিল সেটা ভিন্নকথা।
দুদকের আইনজীবী বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য আমান উল্লাহ আমানসহ বিএনপির পাঁচ নেতার দুর্নীতির পৃথক মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া দন্ড ও সাজা স্থগিতের আবেদন খারিজ করে ২০১৮ সালে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই রায়ের ৪৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গত ২২ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
সেখানে রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, জামিন বা সাজা স্থগিত থাকলেও তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যদি না তার সাজা উপযুক্ত আদালত কর্তৃক বাতিল না হয়। আপিল বিচারাধীন থাকা মানে দন্ডিত ব্যক্তি নির্দোষ নন। একমাত্র উপযুক্ত আদালত কর্তৃক সাজা বাতিল হলে দন্ডিত ব্যক্তি নির্দোষ হবেন। দন্ড বাতিল না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া সাজা খাটার পর পাঁচ বছর অতিক্রম না হলে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, গত সংসদ নির্বাচনের সময় বিএনপির পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুর্নীতি মামলার সাজা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত শুনানি করে তাদের আবেদন খারিজ করেন। ফলে তাদের সেই সাজা বহাল রয়েছে। এরপরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে একজনের (বিএনপি নেতা আমান) আপিল নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বাকি চারজনের মামলা এখনো হাইকোর্টে বিচারাধীন।#