দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
লালমনিরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে একটি অকেজো গাড়িকে সচল দেখিয়ে প্রতিমাসে অবৈধভাবে জ্বালানী তেলের বিল উত্তোলন করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় অভিযান চালিয়েছে দুদক।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুদকের কেন্দ্র-১০৬ এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক সমন্বিত রংপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান, দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য। তিনি আরো জানান, অভিযানকালে দুদক কর্মকর্তারা দেখতে পান, গাড়িটি দীর্ঘদিন যাবত অচল হয়ে পড়ে থাকলেও প্রতি মাসে মাসে তা সচল দেখিয়ে জ্বালানী তেলের বিল উত্তোলন করা হচ্ছে। আর এ অনিয়মের ব্যপারে টিম গাড়িটির লগ বই সহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণপূর্বক কমিশনে প্রতিবেদন তৈরি করছেন দুদক টিম।
দুদক জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, লালমনিরহাট সরকারি খাদ্য গুদামে প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ধান না কিনে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে। কৃষক ধান বিক্রি করতে চাইলে তার কাছ থেকে বস্তা প্রতি ২০ টাকা এবং টন প্রতি সাড়ে ৭০০ টাকা ঘুষ আদায় করা হচ্ছে। আর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আরো একটি অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে প্রকৃত কৃষকদের বাদ দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পর্যালোচনাপূর্বক অনুসন্ধানের অনুমোদন চেয়ে কমিশনের নিকট রিপোর্ট দাখিল করবে।
দুদক জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান , হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলায় “উজ্জলপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার প্রেমতোষ শাহাজি কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ রেখে স্থানীয় বাজারে নিজস্ব ফার্মেসীতে রোগী দেখেন।
তার ফার্মেসীর নাম “শাহাজি মেডিকেল সেন্টার”। তিনি রোগী দেখেন এবং পার্শ্ববর্তী একটি স্কুলের পরিচালনা পরিষদের দায়িত্ব পালন করছেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক সমন্বিত কার্যালয় হবিগঞ্জের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শোয়ায়েব হোসেনের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় এবং পরিলক্ষিত হয় যে, কমিউনিটি ক্লিনিকটি বন্ধ রয়েছে এবং সেবা প্রত্যাশী রোগীগণ সেখানে এসে চিকিৎসা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন।
দুদক টিমের জিজ্ঞাসাবাদে জনাব প্রেমতোষ শাহাজি জানান তিনি একটি স্কুলের পরিচালনা পর্ষদ এর সাথে জড়িত থাকার কারণে কমিউনিটি ক্লিনিকে ঠিকমতো সময় দিতে পারেন না।
এ ব্যাপারে দুদক টিম হবিগঞ্জের সিভিল সার্জনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে প্রেমতোষ তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে অননুমোদিতভাবে ফার্মেসি ব্যবসা পরিচালনা এবং স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন না । এটা সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার লংঘন এবং এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে তিনি আশ্বন্ত করেন।
দুদক জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান , লার্নিং এন্ড আর্নিং প্রকল্পের কাজ প্রদানের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে দুদক প্রধান কার্যালয় হতে এবং সিরাজগঞ্জের তাড়াশে রাস্তা নির্মাণের কাজে অনিয়মের অভিযোগে সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনা হতে আরও ০২টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। # কাশেম