দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
ঋণ জালিয়াতি ও ভুয়া রপ্তানি বিলে ৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৯৫ হাজার ১২০ টাকা আত্মসাতের মামলায় জনতা ব্যাংকের ১৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মেসার্স ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও এমডির বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান যে কোনদিন আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন বলে জানা যায়।
আসামীদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯/১০৯/৪২০/৪৬৭/৪৭১; ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২), (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
গ্রুপ ও মেসার্স ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ কাদের ও এমডি সুলতানা বেগম; কৃষি ব্যাংকের বর্তমান ডিএমডি ও জনতা ব্যাংকের সাবেক জিএম ফখরুল আলম, জিএম মো. রেজাউল করিম, ডিজিএম এ কে এম আসাদুজ্জামান, মুহাম্মদ ইকবাল, কাজী রইস উদ্দিন আহমেদ, এজিএম মো. আতাউর রহমান সরকার, ব্যাংকের হিউম্যান রিসোর্সেস ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. মনিরুজ্জামান, মো. সাইদুজ্জামান, প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমীন, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মাগরেব আলী ও মো. খায়রুল আমিন।
রোববার (৬ মার্চ) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, গত ৩ মার্চ দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ওই ১৫ আসামীর বিরুদ্ধে চার্জশিটটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
চার্জশিটে সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি মো. জাকির হোসেনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। কারণ তার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্য উপাপ্ত পাওয়া যায়নি। তবে দায়িত্বে অবহেলার জন্য তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ রয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।
সূত্র মতে, ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রæয়ারি রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। ওই সময় ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ এক বছর পর তিনি জামিন পেয়েছেন।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনতা ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের শর্ত লঙ্ঘন করে জালিয়াতি করার উদ্দেশ্যে রপ্তানি না করেও ভুয়া নথি দেখিয়ে এফডিবিপি ও প্যাকিং ক্রেডিট বাবদ টাকা উত্তোলন করেন। রপ্তানি ঋণ সুবিধা পেতে ভুয়া রপ্তানি বিলের বিপরীতে ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের অনুকূলে জনতা ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখা থেকে ৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৯৫ হাজার ১২০ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন আসামিরা। পরে তা স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে দেশের অভ্যন্তরে বা দেশের বাইরে পাচার করেছেন। #