দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ক্যাসিনো কান্ডের হোতা যুবলীগ নেতা ঠিকাদার জি কে শামীমের ঠিকাদারি কাজে সহযোগিতার মাধ্যমে বিপুল পরিমান অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি ) দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের স্বাক্ষরে ওই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পৃথক নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে আগামি ১২ ফেব্রুয়ারি দুদক প্রধান কার্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য। তলবি নোটিশ প্রাপ্তরা হলেন, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সাময়িক বরখাস্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মুনিফ আহমেদ ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান পলাশ এবং বিশ্বাস বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম।
অভিযোগ রয়েছে, “ঠিকাদার জি কে শামীমসহ অন্যান্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের শত শত কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারি কাজ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেন।
তারা ক্যাসিনো ব্যবসা করে শত শত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন করে বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে আপনার বক্তব্য রেকর্ড করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।”
গত ১৮ই সেপ্টেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হয়। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
এখন পর্যন্ত ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০টি মামলা করেছে দুদক।
ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রায় ২০০ জনের তালিকা ধরে অনুসন্ধান করছে দুদক।
পরিচালক ছাড়া অনুসন্ধানে টিমের অপর সদস্যরা হলেন- উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম,মো. সালাহউদ্দিন, গুলশান আনোয়ার প্রধান, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী। # কাশেম