দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
কোটি টাকার স্থাবর অস্থার সম্পদের তথ্য বেরিয়ে এসেছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক প্রদীপ কুমার মন্ডলের। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে মিলছে প্রদীপ কুমার মন্ডলের পাঁচ তলা বাড়ি ও এক একরের বেশি সম্পদের তথ্য। শনিবার (২৭ আগস্ট) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদক অনুসন্ধানী কর্মকর্তাদের মাঝেই এখন প্রশ্ন উঠেছে সামান্য বেতনের একজন কর্মচারী হয়ে কীভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন তিনি। এসব তথ্য নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। যদিও প্রদীপ তার সম্পদের অর্জনের ব্যাখ্যায় ৯০ লাখ টাকা ঋণ দেখিয়েছেন। কিন্তু সামান্য কর্মচারী কিভাবে ৯০ লাখ টাকা ঋণ দেখালেন ।
২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ৭টি দলিল মূলে ১ দশমিক ৫৮ একর জমি ক্রয় করতে মাত্র ২৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা দেখিয়েছেন। এতো ছোট চাকরি করে কীভাবে এত টাকার জমি ক্রয় করেছেন এবং প্রকৃতপক্ষে জমির মূল্যও নিরূপণ করার নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।
দুদকের খুলনা অফিস থেকে চলমান অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। স¤প্রতি খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ এ সংক্রান্ত অনুসন্ধানের একটি প্রতিবেদন জমা দেন। পরে কমিশন থেকে বেশকিছু প্রশ্ন দেওয়া হয়। একইসঙ্গে প্রশ্নের জবাবসহ পুনরায় প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা দেয় কমিশন। নির্দেশনায় অনুসন্ধান কর্মকর্তা পরিবর্তন করে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ইকবাল হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, খুলনা অফিসের মাধ্যমে ২০১৯ সাল থেকে প্রদীপ কুমার মন্ডলের সম্পদের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তার বিরুদ্ধে নিয়োগ, বদলি, পিআরএল ও পেনশন বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধানে প্রদীপের পাঁচ তলা বাড়ি ও সাতক্ষীরার ১ দশমিক ৫৮ একর জমির মালিকানার তথ্য ওঠে আসে। যদিও প্রদীপ তার কাগজপত্রে ৯০ লাখ টাকা ঋণ দেখিয়েছেন।
সূত্র জানায়, কমিশনের নির্দেশনায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বাড়ির নির্মাণ ব্যয় সম্পর্কে জানতে পিডবিøউ’র একজন প্রকৌশলী দ্বারা পরিমাপ করার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংক থেকে ৯০ লাখ ঋণ নিয়ে বাড়ি করার বিষয়টি অস্বাভাবিক উল্লেখ করে আরও তথ্য-উপাত্ত প্রদান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। #