দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
রাজধানীর উপকণ্ঠে কেরানীগঞ্জের কৃতিস্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান খান বলেছেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী, মহান মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমােকে জানতে হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে হবে। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। আমাদের মধ্যে অনেক শহীদ হয়েছেন। তাদের অবদান চিরদিন স্মরনী হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু না হলে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না। আমাদের এ স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং ২ লাখ মা-বোনর আত্মত্যাগ রয়েছের স্মৃতি রয়েছে। যা কোন দিন ভুলার মতো নয়। তিনি বলেন, নতুন প্রজম্মকে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হবে। আর বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে ভালভাবে পড়া শোনা করতে হবে।
১৬ ডিসেম্বর (বৃগস্পতিবার) কেরানীগঞ্জের উপ জেলার তারানগর ইউনিয়নে “বটতলী সিরাজ উদ্দিন আহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে” মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভা , সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বার্ষিক পরীক্ষায় কৃতিশিক্ষার্থীদের মাঝে পুরেস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওই বিদ্যালেয়ের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান খান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু, এ দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হলে শিক্ষার্থীদের ভালভাবে পড়াশুনা করতে হবে। পড়াশোনার বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে “দৈনিক ব্যাংক বীমা অর্থনীতি” পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মো. আবুল কাশেম বলেছেন,আজকের শিক্ষার্থীরা আগামিতে বিভিন্ন পর্যায়ে জাতির নেতৃত্ব দিবে। আজকের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেই আগামীতে বেরিয়ে আসবে জাতির নেতৃত্ব। আজকের এসব শিক্ষার্থীদের মাঝেই লুকিয়ে রয়েছে আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের মধ্য থেকেই কেউ হবে ডাক্তর , কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ শিক্ষক,কেউ প্রশাসন ক্যাডারের বড় বড় আসনে যাবে। আবার কেউ মন্ত্রী ও এমপি এবং সমাজ সেবক হবে।
তিনি বলেন, যে জাতি যত শিক্ষিত, সৎ, মেধাবী, দেশ প্রেমিক এবং কর্মঠ, সে জাতি তত উন্নত। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়তে হলে অবশ্যই দেশ প্রেমিক,সুশিক্ষিত, সৎ, যোগ্য, মেধাবী ও কর্মঠ নেতৃত্ব প্রয়োজন।
বিশেষ অতিথি বক্তব্যে অ্যাডভোকেট কবির হোসেন বলেন, আজ আমরা যে স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি, এটা বঙ্গবন্ধুর অবদান। বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালে জাতির উদ্দেশ্যে বলে ছিলেন, আমাদের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। আমাদের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। আমরা যেহেতু সংগ্রাম করতে শিখেছি, প্রতিবাদ করতে শিখেছি, অধিকার আদায়ে সংগাম শুরু করেছি। মনে রেখো, তোমাদের কে আর কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আমি যদি আর নির্দেশ দিতে না ও পারি, তোমরা যার যার কিছু আ্ছে ,তা নিয়েই প্রসস্তুুত থাক। এরপরই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। কিন্তু এরপেছনে যাদের আত্মত্যাগ রয়েছে,তারা আমাদের কাছে চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবেন।
বটতলী সিরাজ উদ্দিন আহম্মদ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, অভিভাবক পরিষদের সদ্স্য মো. নুরুল ইসলাম স্বপন, মো. রুহুল আমিন, স্থানীয় ইউপি মেম্বর ও অভিভাবক পরিষদের সদস্য মো, আব্দুল হক প্রমুখ। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, অভিভাবক পরিষদের সদ্স্য মো. রায়হান আহম্মদ জিলানী, মোক্তার হোসেন এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক/ শিক্ষিা ও এলাকার অভিভাবকগণ।
অনুষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষায় ‘ষষ্ট শ্রেনি থেকে ১০ম শ্রেনি পর্যন্ত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারি শিক্ষার্থীদের হাতে আকর্ষনীয় পুরস্কার তুলে দেন অতিথি বৃন্দ। এরআগে জাতীয় সংগী এবং দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করেন আমন্ত্রিত শিল্পি এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সবকিছু মিলে এবার শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ এবং মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সত্যিই ভাল হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।#