দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
অবশেষে এবার ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক নিষিদ্ধ করে কুয়েতের জাতীয় সংসদে একটি বিল পাস হয়েছে। গত ২৭ মে কুয়েতের জাতীয় সংসদ গাজা উপত্যকার ওপর সাম্প্রতিক ইসরাইলি পাশবিক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিলটি পাস করে।
কুয়েত ও কাতার এমন সময় ফিলিস্তিন ইস্যুতে মুসলিম উম্মাহর দাবি সমর্থন করে বক্তব্য দিল যখন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের মতো আরব দেশগুলো ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে।
গত ২৭ মে ফিলিস্তিন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে কুয়েত সংসদের জরুরি অধিবেশন ডাকা হয়। অধিবেশনে সংসদ সদস্যরা ফিলিস্তিনি জাতির প্রতি তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন ঘোষণা করেন। তারা বলেন, পূর্ব জেরুসালেম আল-কুদসকে (পূর্ব বায়তুল মুকাদ্দাস) রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি কুয়েতের সংহতি ও সহমর্মিতা অব্যাহত থাকবে।
কুয়েতের পার্লামেন্ট স্পিকার মারজুক আলী আল-ঘানেম বলেন, ‘ফিলিস্তিন হচ্ছে কুয়েতের প্রধান জাতীয় ইস্যু। ফিলিস্তিন ইস্যুতে কুয়েতের জনগণ ও সরকারের অবস্থান জানিয়ে দিতে জাতীয় সংসদের এই বিশেষ অধিবেশন বসেছে।’ তিনি গাজা উপত্যকার বেসামরিক অবস্থানগুলোতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাম্প্রতিক ভয়াবহ আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানান অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শায়খ আহমাদ নাসের আল-মোহাম্মাদ আস-সাবাহ বলেন, ফিলিস্তিনি জাতির প্রকৃত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের প্রতি কুয়েতের অকুণ্ঠ সমর্থন অব্যাহত থাকবে। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘দখলদার ইসরাইল সম্প্রতি যে জঘন্য অপরাধ করেছে তা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে।’
কুয়েতের পাশাপাশি কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান আলে-সানি শুক্রবার দোহায় বলেছেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে কাতারের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না। কাতার কোনোদিন ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাথে কোনো ধরনের কূটনৈতিক বা বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না।
# সূত্র : পার্সটুডে