দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ঢালুয়া রহমাতিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম গত ১৭ বছর যাবত মাদ্রাসায় পাঠদান না করে বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন। এই অভিযোগে ওই মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়েছে দুদক।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (টোল ফ্রি হটলাইন- ১০৬) অভিযোগ আসে, নাঙ্গলকোটের ঢালুয়া রহমাতিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বিগত ১৭ বছর যাবত মাদ্রাসায় পাঠদান না করে বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন।

গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।

তিনি জানান, ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুমিল্লা জেলা দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এইচ এম আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার অভিযান পরিচালনা করেন। সরেজমিন অভিযানে টিম উক্ত প্রতিষ্ঠানের হাজিরা খাতা যাচাই করে অভিযোগের সত্যতা পায়। অভিযানকালে অভিযুক্ত শিক্ষককে মাদ্রাসায় উপস্থিত পাওয়া যায়নি।

তিনি ছুটি গ্রহণপূর্বক ওমরাহ পালন করতে গিয়েছেন মর্মে জানা গেলেও ছুটি গ্রহণের কোনো অনুমোদিত আবেদনপত্র দুদক টিম পায়নি। সার্বিক বিবেচনায় উক্ত শিক্ষক দীর্ঘকাল যাবৎ রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন মর্মে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয় বিধায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কমিশনের নিকট প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।

একই টিম নাঙ্গলকোট উপজেলার আদ্রা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, ইউনিয়ন ট্রেড লাইসেন্স, নাগরিকত্ব সনদ প্রদানসহ নানাবিধ সেবা প্রদানে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে টিমের পক্ষ হতে রশিদ প্রদানপূর্বক সরকার নির্ধারিত হারে সকল সেবা প্রদানের নির্দেশনা দেয়া হয়।

দুদক কর্মকর্তা আরো জানান, এছাড়া উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর মদদে চাটিতোলা গ্রামে সরকারি খাল দখল করে স্থাপনা তৈরীর অভিযোগ খতিয়ে দেখে দুদক টিম। অভিযানকালে হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে উক্ত খাল দখল করা হয়েছে মর্মে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়।

এ অবৈধ স্থাপনা অপসারণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করে অভিযান পরিচালনাকারী টিম।

এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে, মাগুরা বিআরটিএতে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে এবং মাগুরা সদর হাসপাতালে রোগীদের নিম্মমানের খাবার সরবরাহের অভিযোগে যথাক্রমে প্রধান কার্যালয় এবং যশোর জেলা কার্যালয় হতে ৩টি পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়েছে।#