দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১১ মে) দুদকের পক্ষ থেকে আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় দুদক ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২ ও ৩) ধারায় আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে। গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান দুদক জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।
আসামী মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বর্তমান ঠিকানা: বাসা নং-১/৬, ইস্কাটন গার্ডেন রোড, প্রোপার্টি ডুপ্লেক্স-এ/১, ইস্কাটন, ঢাকা। তার স্থায়ী ঠিকানা: গ্রাাম ও পো. মৈনম, উপজেলা-মান্দা, জেলা-নওগা।
দুদকের মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ১৯৮৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চাকুরী করে নিজ নামে ১ কোটি ৬১ লাখ ৮৮ হাজার ৩৩৬ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। দুদকের দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তিনি নিজের নামে ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৯৪১ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
আয়কর নথি পর্যালোচনায় তার নিজের এবং তার-স্ত্রী একত্রে ঋণসহ প্রকৃত আয়ের পরিমাণ ৬১ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৫ টাকা পাওয়া যায়।
আসামীর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১ কোটি ৭২ হাজার ৩৭১ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ তার নিজ নামে ও স্ত্রীর নামে অর্জন অবৈধ সম্পদ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগে দুদক একটি মামলাটি দায়ের করেছে।
আসামী মোস্তাফিজুর রহমানের দাখিলকৃত সম্পদ বিশ্লেষনে দুদক পেয়েছে, তার নিজ নামে ও স্ত্রীর নামে ১) রাজশাহীর কৃষি জমির মূল্য ২ লাখ ২৯ হাজার ৩৬ টাকা; ২) গাজীপুরে ভিটা জমির মূল্য ২ লাখ ২০ হাজার টাকা; ৩) রাজধানীতে তেজকুনি পাড়া মৌজা, তেজগাঁও, ঢাকয় যৌথ নামে ৮৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট নির্মাণ ব্যয় ১২ লাখ ৪২ হাজার ৩৮৬ টাকা; ৪) রাজউকের উত্তরা ১৮ নং সেক্টর অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প, এ বøক নির্মাণাধীন ১৬৫৪ ব:ফু: সরকারি ফ্ল্যাট,অর্জিত মূল্য ৫৯ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫০ টাকা; ৫) সেনপাড়া পর্বতা মৌজায় যৌথভাবে ১১৩৯ ব:ফু: ফ্ল্যাট নির্মানাধীন অর্জিত মূল্য ২৬ লাখ ২২ হাজার টাকা; ৬ ) বনগ্রাম মৌজায় রাজশাহী কৃষি জমি অর্জিত মূল্য ২৫ হাজার টাকা।
উপযুক্ত স্থাবর সম্পদ ছক পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, আসামী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রীর নামে ১ কোটি ৩ লাখ ২৭ হাজার ১৭২ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে দুদক।
এছাড়া অস্থাবর সম্পদের বিবরণ : আসামী মোস্তাফিজুর রহমানের দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তার নিজ ও স্ত্রীর নামে ১) স্বর্ণালংকার ৪ ভরি মূল্য ৩০ হাজার টাকা; ২) গলার মালা ২ ভরি মূল্য ৩১ টাকা; ৩) ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর মূল্য ১ লাখ ৩০ টাকা; ৪) প্রাইজ বন্ড ইত্যাদি মূল্য-৭ লাখ ১২ হাজার ২৫০ টাকা; ৫) আসবাবপত্র ইত্যাদি ৬৫ হাজার টাকা; ৬) সোনালী ব্যাংক, আগারগাঁও শাখাতে গচ্ছিত ২১ লাখ ৫৮ হাজার ১৪৮ টাকা; ৭) সিটি ব্যাংক, গুলশান-১ শাখায় গচ্ছিত ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৮২৫ টাকা এবং (৮) আয়কর নথিতে হাতে নগদ নগদ ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৯৪১ টাকা গোপন করা হয়।
বিবরনীতে উল্লেখ,আসামীর নিজ নামে ও স্ত্রীর নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদের মূল্য ৫৮ লাখ ৮৬ হাজার ১৬৪ টাকার সম্পদের তত্য। এক্ষেত্রে দেখা যায় আসামীর নিজ নামে ও স্ত্রীর নামে মোট ১ কোটি ৬২ লাখ ১৩ হাজার ৩৩৬ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে আসামীর নিজ নামে ও স্ত্রীর নামে মোট ১৫ লাখ৭৫ হাজার ৯৪১ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ গোপন করেছেন। #