দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ নিয়ে কারা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগ, অর্থের বিনিময়ে বন্দিদের অবৈধ সুবিধা, অর্থ লেনদেন এবং অবৈধ ক্যান্টিন বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কারা অধিদপ্তরের আরও ২ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এই দুই জন হলেন,কারা অধিদপ্তরের এআইজি প্রিজন্স মাইনুদ্দিন ভূঁইয়া ও মৌলভীবাজার কারাগারের জেলার আবু মুসা। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামানের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত টিমের সদস্যরা । জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদের সময় কারা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা প্রাপ্ত অভিযোগের বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। দুদক টিম তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
দুদক সূত্র মতে, গত ১৭ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি একই অভিযোগে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল কারাগারের ৭ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন দুদক কর্মকর্তারা। এপর্যন্ত কারা অধিদপ্তরের দুর্নীতি অনিয়ম এবং ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এর আগে কারা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগ ও অবৈধ ক্যান্টিন বাণিজ্যসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ৬ মার্চ খুলনা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিআইজি প্রিজন্স ছগির মিয়া, হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন মোল্লা ও জামালপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার মোখলেছুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
গত ৭ মার্চ যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আবু তালেব, বাগেরহাট জেলা কারাগারের জেলার মহিউদ্দিন হায়দার ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার শফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদকের কর্মকর্তারা।
২০২০ সালের শুরুতে অভিযোগটি অনুসন্ধান করে দুই সদস্যের টিম গঠন করে দুদক। টিমের অন্য সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ। আর তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
কার অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ নিয়ে কারা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগ, অর্থের বিনিময়ে বন্দিদের অবৈধ সুবিধা, অর্থ লেনদেন এবং অবৈধ ক্যান্টিন বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের চা ল্যকর অভিযোগ রয়েছে দুদকে।#