দূরবীণ নিউজ ডেস্ক:
করোনা কালে কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশের ফুটবলাররা,সুইমিং পুলে আর শপিংয়ে ব্যস্ত । হোটেল সলটেতে চলমান ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের তিন দলই অবস্থান করছে। করোনা পরিস্থিতির জন্য বহিরাগতদের এই হোটেলে যাতায়াতে সীমাবদ্ধতা আছে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের চার-পাঁচ জন ফুটবলার আজ বুধবার (২৪ মার্চ) দুপুরের দিকে শপিং করে হোটেলে ফিরছিলেন।
টুর্নামেন্ট কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের চোখে এটি ধরা পড়ে। লোকাল ট্যাক্সি থেকে শপিং ব্যাগ নিয়ে নামেন তারা।
বিদেশে টুর্নামেন্ট বা সফরে আসলে ফুটবলারদের টিম হোটেলের বাইরে যেতে হলে টিম ম্যানেজম্যান্টের অনুমতি নিতে হয়। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে এটি আরো বেশি প্রযোজ্য।
বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার ইকবাল হোসেন ফুটবলারদের বাইরে যাওয়ার প্রসঙ্গে বলেন, ‘কোচের অনুমতি নিয়েই কিছুক্ষণের জন্য তারা ব্যক্তিগত কাজে বাইরে গিয়েছিল। আবার স্বল্প সময়ের মধ্যেই ফিরে এসেছে।’- কয়েকজন শপিংয়ে বের হলেও অনেকেই সুইমিং পুলে ব্যস্ত ছিলেন।
বাংলাদেশের ব্রিটিশ হেড কোচ জেমি ডে তার শিষ্যদের বাইরে যাওয়ার অনুমতি না দেয়ার কারণ দেখছেন না, ‘আজ ছুটির দিন অনুশীলন নেই। ছুটির দিনে তারা খুশি মতো যেকোনো জায়গায় যেতে পারে।
তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে চলাফেরা করাই শ্রেয়।’ ছুটির দিনে বাইরে যাওয়ার পেছনে কোচ পরোক্ষভাবে আরও দুইটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন, ‘হোটেলে ফুটবলাররা অনেকের সাথে মিশছে আবার মিডিয়ার সাথে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কথা হচ্ছে।’
টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়ে আর করোনা পরীক্ষা হবে না। ফলে করোনা পজিটিভ হয়ে ম্যাচ মিস করার ঝুঁকি সেই অর্থে নেই। কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট পেলেই কেবল দেশে ফেরার উদ্দেশে উড়াল দেয়ার সুযোগ মিলবে।
গত বছর নভেম্বরে বাংলাদেশ নেপালের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের সিরিজ আয়োজন করেছিল। প্রথম ম্যাচের পর দুই দলের সকল ফুটবলার, কোচিং স্টাফকে করোনা পরীক্ষা করিয়েছিল। সেই পরীক্ষায় সবাই নেগেটিভ পেলেও বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে পজিটিভ হয়েছিলেন। এজন্য তিনি দ্বিতীয় ম্যাচে ডাগ আউটে থাকতে পারেননি। /