দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ফরিদপুরে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া রুটে শ্রমজীবী মানুষের ভীড়। চাকরি বাঁচাতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে নিজ নিজ কর্মস্থলে ছুটছেন শ্রমজীবী মানুষরা।
রোববার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাটে শ্রমজীবী মানুষের ঢল দেখা গেছে। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে ঢাকা বা নারায়ণগঞ্জে যেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন পাল্টে পাল্টে কর্মস্থলে ছুটছেন তারা।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, সকাল থেকে শ্রমজীবী মানুষকে ফেরিতে নদী পার হতে দেখেছি। তিনটি ফেরিতে মানুষের চাপ বেশি ছিল। সব মিলিয়ে আনুমানিক দুই হাজার শ্রমজীবী মানুষ নদী পার হয়ে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। কাঁঠালবাড়ী ঘাটে সেনাবাহিনী ও পুলিশ রয়েছে।
তারা তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ফেরিতে তুলে দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। শিমুলিয়া ঘাটে কোনো গণপরিবহন না থাকায় বিপাকে পড়েছেন এ সকল শ্রমজীবী নারী পুরুষ। বেশি ভাড়ায় তারা মিশুক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টায় রওনা দিচ্ছেন। কেউ যাচ্ছেন পিকআপ ভাড়া করে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়েতে কোনো ছোট পরিবহন চলাচলের অনুমতি আমরা দেই না। তাই ছোট যানবাহনে করে অনেক রাস্তা ঘুরে তারা ঢাকার বাবুবাজারের দিকে যায়। সেখান থেকে পরিবহন পাল্টে গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন শ্রমজীবীরা। এক্ষেত্রে তাদের বেশি ভাড়াও গুনতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষরা।’
এদিকে, দিনের বেলায় দুই-তিনটি ফেরি চললেও এখন রাতের বেলায় ছয়টি ফেরি চলাচল করছে। কারণ ফেরিতে পণ্যবাহী ট্রাক পার করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান পারাপার করেছি। দিনের চেয়ে রাতেই ওসব গাড়ির চাপ বেশি থাকে।
তাছাড়া এখন শিমুলিয়া ঘাট থেকে কাঁঠালবাড়ী ঘাটের উদ্দেশে যাওয়ার পরিবহন তেমন নেই। এপাশে ঘাট একেবারে ফাঁকা। দুই একটি জরুরি সেবার গাড়ি এলেই ফেরিতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ চেষ্টা করেছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু তাদের একটাই কথা যেতে না দিলে চাকুরি থাকবে না। # কাশেম