দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি করোনা ভাইরাসের বিষয়ে দেশবাসীকে সচেতনতামূলক নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে মেনে চলার আহবান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম-পরিচ্ছন্ন শহর’কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগ এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। খবর ইউএনবি’র ।
প্রধানমন্ত্রী একযোগে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি নিয়ে রাজশাহী, যশোর ও ময়মনসিংহের লোকজনের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় করেন। সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিদায়ী মেয়র সাঈদ খোকন অন্যান্যের মাঝে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি… রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এ ভাইরাসের বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য নিয়মিতভাবে নির্দেশনা দিচ্ছে। সচেতনতামূলক এসব নির্দেশনা সবাইকে অনুসরণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করেন যে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বা ভাইরাস-আক্রান্তের কোনো নমুনা দেখা গেলে তাকে সাথে সাথে চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে হবে। ‘এ বিষয়ে আমরা প্রতিটি জেলা-উপজেলাতেও হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি,’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বিদেশ থেকে ফেরা ব্যক্তিদের অন্যদের থেকে কয়েকদিন আলাদা থাকার এবং তাদের মধ্যে ভাইরাসের লক্ষণ দেখা যায় কি না তা দেখার পরামর্শ দেন।
এ দেশের মানুষ স্বাস্থ্য সম্পর্কে কম সচেতন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাদের ভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য যেখানে সেখানে থুথু না ফেলা এবং বাইরে থেকে ঘরে ফিরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দেন।
তিনি সংক্রামক ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করার জন্য লোকজনকে তাদের বাড়ি, অফিস ও কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য দেশব্যাপী গ্রাম পর্যায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গড়তে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন।
‘আমি আগেও নির্দেশনা দিয়েছিলাম এবং আবারও দিচ্ছি যে আমাদের এমনকি গ্রাম পর্যায়েও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি গ্রাম, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও অন্যান্য জায়গায় বর্জ্য ফেলার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকতে হবে,’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ দেশব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি নিয়ে একটি উপস্থাপনা দেন। # কাশেম