দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দেশের সকল রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনকে সম্পৃক্ত করে সর্বদলীয় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
২৭ মার্চ গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ আহ্বান জানান।
নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার যেসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এবং ঘোষণা করছেন তাতে দেশবাসী খুব বেশী আশ্বস্থ হতে পারছে না। কারণ, সরকারের কথা আর বলছে কাজে কোন সমন্বয় জনগণ তা দেখতে পাচ্ছে না।
উপরন্তু শুরু থেকেই সরকার এ বিষয়ে চরম অবহেলা করে এসেছে যার ফলে করোনা সংক্রমণ রোধে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এখন পর্যন্ত আইইডিসিআর ছাড়া কোনো হাসপাতালকেই করোনা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি করা হয়নি। এতে জনমনে আতঙ্ক আরও বেড়ে চলেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই মহামারি মোকাবিলায় দরকার সর্বদলীয় সবার উদ্যোগ কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সমাজের সকল অংশকে একত্রিত করে যৌথ উদ্যোগ নেয়ার কোনো আলামতই দেখা যাচ্ছে না, শুধু কথার ফুলঝুড়ি ছাড়া।
নেতৃদ্বয় বলেন, দেশের শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যগরিষ্ঠ এখন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করে। এসব শ্রমজীবী যেমন মুটে, মজুর, রিকশাওয়ালা, অটোরিকশা-টেম্পু চালক-হেলপার এবং গৃহকর্মী যারা করোনা ভাইরাস বিস্তারের কারণে জীবিকা হারিয়েছে তাদের এই বিচ্ছিন্ন সময়কালে খাদ্য, ওষুধ, পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরো বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কালক্ষেপণ, অদূরদর্শী ও অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে পারছে না। ফলে গুজব তৈরি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সেক্ষেত্রে আস্থা সৃষ্টি করলেও বাস্তবে তার প্রয়োগ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সহায়ক হবে।
বিবৃতিতে দলীয় নয়, সর্বদলীয়ভাবে সবার অংশগ্রহণে এই মহামারি মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়ে বলেন, একই সঙ্গে করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমজীবী মানুষদের আগামী ৬ মাসের খাদ্যদ্রব্য ও নগদ অর্থসহায়তার দাবি জানিয়ে অবিলম্বে এনজিও ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
তারা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দুর্ভোগ সব সময় সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে, এবারও তাই করবে। করোনা মোকাবিলায় সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠনকে সম্পৃক্ত করতে হবে। #প্রেস বিজ্ঞপ্তি