দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসের সংক্রামণ প্রতিরোধে আজ শুক্রবার (২৩ জুলাই) থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার।
আর এই বিধিনিষেধ চলাকালে সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও মসজিদে আবশ্যিকভাবে পালনের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো :
১. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিদেরকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
২. প্রত্যেক মুসল্লিকে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নত ও নফল নামাজ ঘরে আদায় করে শুধু ফরজ নামাজ মসজিদে আদায় করতে হবে।
৩. ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৪. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না।
৫. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে।
৬. মুসল্লিদের প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে। নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
৭. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ও অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের জামাতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকতে হবে।
৮. সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওজুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
৯. মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
১০. করোনা মহামারির এ বৈশ্বিক মহাবিপদ থেকে রক্ষা পেতে বেশি বেশি তওবা, আস্তাগফিরুল্লাহ ও কোরআন তিলাওয়াত করতে হবে।
১১. আমাদের কৃত অন্যায়-অপরাধের জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।
১২. খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তথ্য বিবরণীতে আরও বলা হয়, আরোপিত বিধিনিষেধকালীন মসজিদে নামাজ আদায় ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে করণীয় বিষয়ে গত ৬ জুলাই ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জারি করা নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে অন্যান্য সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান/উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার/সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
এসব নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লেখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে তথ্য বিবরণীতে।
#