দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
নতুন আরো ৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং আরো একজনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। আর এই নিয়ে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৩ এবং মৃত্যুর সংখ্যা ৩ জন।
সোমবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআরের কার্যালয়ে সংস্থাটির পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান। আইইডিসিআরের ভিডিও কনফারেন্সের সময় সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৬ জনের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও দুজন নার্স রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটপূর্ণ হওয়ায় তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তিনি কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় আগে থেকেই ভুগছিলেন।
মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, আক্রান্ত ৩৩ জন রোগীর মধ্যে ১০ বছরের নিচে আছে ২ জন, ১০ থেকে ২০ বছর বয়সীদের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে ৯ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে ৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সীর মধ্যে ৫জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে একজন এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে আছেন ৬ জন।
কোন কোন জেলার ব্যক্তিরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তা জানতে চাইলে মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, ৩৩ জন আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ঢাকা শহরে বাস করতেন এমন ব্যক্তি রয়েছেন ১৫ জন।
এরপর মাদারীপুরের ১০ জন, নারায়ণগঞ্জের তিনজন, গাইবান্ধায় দুজন, কুমিল্লাতে একজন, গাজীপুরে একজন এবং চুয়াডাঙ্গায় একজন রয়েছেন। যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ১৩ জন বিদেশ থেকে ভ্রমণ করে এসেছেন। বাকিরা এঁদের মাধ্যমে কোনো না কোনোভাবে সংক্রমিত হয়েছেন।
মীরজাদী সেব্রিনা আরও বলেন, বিদেশ থেকে যাঁরা এসেছেন তাঁদের মধ্যে ইতালি থেকে ছয়জন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুজন, ইতালি বাদে ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে দুজন, বাহরাইন থেকে একজন, ভারত থেকে একজন ও কুয়েত থেকে একজন এসেছেন। আক্রান্তদের একজন বাদে সবার অবস্থা স্থিতিশীল। এই ৩৩ জনের মধ্যে পাঁচজন সুস্থ হয়ে ইতিমধ্যে বাড়ি ফিরে গেছেন।
আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে আজ বলা হয়, যথেষ্ট পরিমাণ পারসোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) রয়েছে। প্রতিদিন এটি বিদেশ থেকে আনা হচ্ছে। ফলে পিপিই ঘাটতি হবে না।
আইইডিসিআর পক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আরও জানানো হয়, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে করোনাভাইরাস ঠেকাতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার এখন কক্সবাজারে রয়েছে। সেখানে আক্রান্ত হলে শনাক্তকরণের জন্য পরীক্ষা করা যাবে এবং চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আইইডিসিআরের দেওয়া তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ৬২০ ব্যক্তিকে পরীক্ষা করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে ছয়জন করোনা রোগী পাওয়া গেছে। # কাশেম