আবুল কাশেম ,দূরবীণ নিউজ :
করোনা ভাইরাসের হিংস্রতাকে উপেক্ষা করে নগরবাসীকে মশার উৎপাত থেকে রক্ষার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. জামাল মোস্তফা এবং ডিএনসিসির কর্মকর্তা- কর্মচারীরা।
সম্প্রতি নগরীতে এডিস ও কিউলেক্স মশার উৎপাত আবার বাড়তে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেই ডিএনসিসি পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি মশা মারার উপর জোর দিয়েছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গত ৩১ মার্চ ভিডিও কনফারেন্সে মশার ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেছেন।জানা যায়, সরকারি ছুটির দিন শুক্রবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে নগরীতে উড়ন্ত এডিস ও কিউলেক্স মশা মারতে সরাসরি মাঠে নেমেছেন ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. জামাল মোস্তফা। তিনি শুক্রবার বিকেলে মশা মারার কর্মী বাহিনী নিয়ে রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বর স্টাফ কোয়াটার, পুলিশ ব্যাটালিয়ন, কাফরুল থানা এলাকাসহ আশাপাশের এলাকাতে ব্যাপক আকারে উড়ন্ত মশা মারতে ফগিং কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন।
ওই এলাকার লোকজন এই প্রতিবেদক জানান, প্রায় ৬৫ বছরের বয়সী ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. জামাল মোস্তফার মনে বিন্দু মাত্র ক্লান্তি ও ভয়- ভীতি নেই। তিনি যুবকদের মতোই প্রতিদিন নগরবাসীর সেবায় বাসা থেকে তার সহযোগিদের নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন। প্রায়ই দেখা যায়, নগরীতে কর্মহীন হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন । আবার নগরীতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পাশাপাশি মশা মারার কাজটিও নিয়মিত তদারকি করেই যাচ্ছন।মশার উৎপস্ত্তিস্থল মিরপুর ১৩ নম্বরে ঢাকা ওয়াসা মালিকানাধীন বাইশটেকি খলের দৃশ্য
ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা উত্তর সিটিতে স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে পরিকল্পিতভাবে মশক নিধনের কার্যক্রম চলছে। এই কার্যক্রম ডিএনসিসির ৭২টি ওয়ার্ড কাউন্সিলদের নেতৃত্বে চলছে। সকালে মশার উৎপত্তিস্থল ড্রেন, আবদ্ধ জলাশয় ও পরিত্যক্ত জায়গায় লার্ভিসাইডিং এবং বিকেলে উড়ন্ত মশা মারার জন্য ফগিং কার্যক্রম চলছে বলে । তবে এই কার্যক্রম চাহিদার তুলনায় অনেক কম হচ্ছে বলে নগরবাসীর মন্তব্য রয়েছে।
এদিকে ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. জামাল মোস্তফা ‘দূরবীণ নিউজ টোয়েন্টি ফোরডটকম’কে বলেন, ঢাকা উত্তরে সরকারি ৪৩টি পুরনো খাল, বিল, ঝিল, ঢাকা ওয়াসার বড় বড় ড্রেন , ব্যক্তি মালিকানাধীণ ডোবা নালা ও ডিএনসিসি নিয়ন্ত্রিত ছোট ছোট ড্রেনগুলোতে প্রচার পরিমানে কিউলেক্স মশার জম্ম হচ্ছে। আর বাসা বাড়ি, রিকশার গ্যারেজ, পরে থাকা পাত্রে এডিস মশা ডিম পাড়ে। জনগণের সহযোগতায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলরেছ।
মিরপুর পশ্চিম শেওড়াপাড়া, মনিপুর, পশ্চিম কাফরুল ও পীরের বাগের মধ্যবর্তী সরকারি খালটিও মশার উৎপত্তিস্থল
তিনি বলেন, ডিএনসিসির অনেক সীমাবদ্ধতা সত্বেও সরকারি খাল ও ঢাকার ওয়াসার খাল এবং ড্রেন প্ররিস্কার করার পাশাপাশি মশা নিধনের উদ্দেশ্যে লার্ভিসাইডিং এবং ফগিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
মশার ওয়ুধ প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত মেয়র আরো বলেন, এডাল্টিসাইড ( ম্যালাথিয়ন) ৩ লাখ ৮০ হাজার লিটার , ম্যালেরিয়া ‘বি’ ওয়েল ( পোড়া মবিল) ৫০ হাজার লিটার, লার্ভিসাইড (টেসিফস) ২ হাজার ২৬৫ লিটার আছে। আরো ১০ হাজার লিটার আমদানির জন্য দরপত্র খোলা হয়েছে। ম্যালাথিয়ন ৫৭ % ইসি ৪৮ হাজার লিটার এল.সি. খোলা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী বৃষ্টি মোসুমে মশা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারের নির্দেশনার আলোকে নব নির্বাচিত মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের পরামর্শ নিয়েই ডিএনসিসিতে যাবতীয় কার্যক্রম চলছে। # কাশেম