দূরবণি নিউজ ডেস্ক :
করোনার সাথে যুক্ত হয়ে বৃষ্টির পানিতে ডুবছে নারায়নগঞ্জ শহরের অধিকাংশ নিম্মঞ্চল। করোনা পরিস্থিতিতে নগরবাসীর দু’ভোগ বেড়েছে অনেক। করোনায় আক্রান্ত এলাকার মধ্যে নারায়নগঞ্জ সবচেয়ে ঝুঁকি পূর্ণ ।
জানা যায়, টানা বর্ষণে নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলীর প্রায় এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর সমান পানি। অনেকের বসতঘরে পানি উঠেছে। ঘরের আসবাবপত্র তলিয়ে আছে পানির নিচে। বিশেষ করে ডিএনডি এলাকার ঘরে ঘরে বৃষ্টির পানি ঢুকেছে। ফলে মানুষ পড়েছে নিদারুণ কষ্টে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার মধ্যরাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত একটানা বর্ষণের কারণে নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যায়। এছাড়া অলিগলিতে হাঁটু সমান পানি।
ডিএনডি এলাকার মাহমুদপুর, ভূঁইগড়, দেলপাড়া, নয়ামাটি, নুরবাগ, নন্দলালপুর, পিলকুনি, কুতুবআইল, গাবতলি, লালপুর, ইসদাইর, কলেজ রোড, মাসদাইর বাজার, নাগবাড়ি, দেওভোগ, পাইকপাড়া, বাবুরাইল, নারায়ণগঞ্জ শহর, হাজীগঞ্জ, পাঠানতলি, গোদনাইল, জালকুঁড়িসহ প্রায় এলাকা জলবদ্ধতার কবলে পড়েছে।
এদিকে দেওভোগ এলাকার বাসিন্দা আবুল বাশার গণমাধ্যমকে অতীতে কখনো বর্ষা কিংবা বৃষ্টিতে তার বাসায় পানি ঢুকেনি। কিন্তু এবার একদিনের বৃষ্টিতে ঘরে পানি ঢুকেছে। আসবাবপত্র সব ডুবে গেছে। তাদের কষ্টের শেষ নেই। তিনি বলেন, ‘মাত্র বর্ষাকাল শুরু। সামনে আমাদের কি দুর্গতি আছে আল্লাহ ভালো জানেন।’
ডিএনডির ফতুল্লা দেলপাড়া টাওয়ার পাড় এলাকার বাসিন্দা আতিকুর রহমান বিদ্যুৎ মুঠোফোনে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নয়া দিগন্তকে জানান, রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে, অনেকের বাসায় পানি ঢুকেছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন তারা।
তিনি আরো বলেন, ‘মাত্র বর্ষাকাল শুরু, এখনি একদিনের বৃষ্টিতে পানিবদ্ধ হয়ে পড়ছি আমরা।
বর্ষাকালের বাকি সময়টা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।’ এত কোটি টাকা খরচ করে সরকার ডিএনডির জলবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে তার নমুনা এটা?- প্রশ্ন রাখেন তিনি।
কাশিপুর এলাকা থেকে আইনজীবী সাইদুল ইসলাম সুমন আজ সকালে নয়া দিগন্তকে জানান, তার আশেপাশে বিশাল এলাকা জুড়ে জলবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। নিচু এলাকায় বাসাবাড়িতে পানি ঢুকেছে। #