দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গুও প্রতিরোধ করতে কালবিলম্ব না করে এখনই যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে জনজীবন রক্ষা করা যাবে না বলে মন্তব্য করে বাংলাদেম ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
তারা বলেছেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে বাঁচতে হলে মশক নিধনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে আরো সক্রিয় হতে হবে যাতে এডিস মশার সংখ্যা বৃদ্ধি না পায়। এ লক্ষ্যে সরকার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। মানুষজনকে সচেতন করে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে প্রতিষেধকের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।
শুক্রবার (২৪ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান। তারা বলেন, করোনা মহামারী প্রতিরোধে সবাই যখন ব্যস্ত সময় পার করছে, তখন নীরবে-নিভৃতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে।
প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মানুষ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়ায় অনেকে জ্বর হলেও হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন না। মূলত এ কারণেই ডেঙ্গু আক্রান্তেরর সঠিক চিত্র প্রতিফলিত হচ্ছে না।
নেতৃদ্বয় বলেন, গত বছর ডেঙ্গুর প্রকোপের সময় বিশেষজ্ঞরা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে বছরজুড়ে কার্যক্রম পরিচালনা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। দুঃখজনক হল, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এ ব্যাপারে প্রতিশ্রæতি দিলেও বাস্তবে তা পরিপালন করেনি।
এখন যদিও কিছু কিছু কার্যক্রম চোখে পড়ছে, তবে সবকিছু কার্যকর ও সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে না পারলে পরিণতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। গত বছর মশার ওষুধ নিয়ে অনেক অনিয়ম হয়েছে এবং এর ফল কী হয়েছিল, তা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। রাজধানীসহ দেশের অন্তত ৬২ জেলায় ব্যাপক হারে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছিল।
তারা আরো বলেন, প্রাণঘাতী করোনার সঙ্গে ডেঙ্গুও প্রতিরোধ করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকার কালবিলম্ব না করে এখনই যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে জনজীবন রক্ষা করা যাবে না। করোনার পরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঘটলে মরার উপর খাঁড়ার ঘা হবে। তাই ঢাকা সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র ও কাউন্সিলররা এখনই এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন বলে আশা।
নেতৃদ্বয় বলেন, যেখানে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই, সেখানে স্বভাবতই কয়েকদিন ধরে পানি জমে থাকে। বিশেষত নির্মাণকাজ চলছে এমন জায়গায় এটি বেশি দেখা যায়। এসব জায়গায় জমে থাকা পানি অপসারণের পাশাপাশি নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটাতে হবে।
মশা নিধনের ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে অতীতে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে তা তদন্তপূর্বক বিচার করতে হবে। যাতে কেউ ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম-র্দুর্নীতি করার দুঃসাহস দেখাতে না পারে। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি