দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
বাংলাদেশে করোনা কালে চিকিৎসা ব্যবস্থার ঘাটতি, অপর্যাপ্ততা, দুর্দশা, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ ক্রমেই বাড়ছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রধানতম ও প্রথম পদক্ষেপ টেস্ট বা করোনা পরীক্ষা করাতে ব্যর্থ হচ্ছেন রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জের শত শত মানুষ।
শুধুমাত্র করোনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় শত শত মানুষ -যাদের উপসর্গ রয়েছে- তারা হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে সীমাহীন দৌড়ঝাঁপ, সরকার নির্ধারিত বুথগুলোতে দিনের পর দিন ঘুরেও পরীক্ষা করাতে ব্যর্থ হয়ে ভীতিকর এক অসহায়ত্বের মধ্যে রয়েছে।
এই প্রতিবেদক নিজেই ঢাকার অন্তত ৭টি হাসপাতাল ও বুথের নানাবিধ খোঁজ-খবর নিয়ে ভয়াবহ এক চিত্র দেখতে পেয়েছেন। ভয়েস অব আমেরিকাকে পরীক্ষা করতে পারেননি তাদেরই একজন এমনই জানালেন।
করোনা সংক্রমণের পরীক্ষা ব্যবস্থা ক্রমশ সঙ্কুচিত করে ফেলা হচ্ছে। আগে সরকারি সংস্থা আইইডিসিআর, বেসরকারি সংস্থা আইসিডিডিআরবিসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে মানুষ সরাসরি পরীক্ষা করাতে পারতেন। এখন তা সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর একক নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সরকারের স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য দফতর এখন দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ইজারার মতো করে দায়িত্ব দিয়েছে। কিন্তু সেখানে চরম অব্যবস্থাপনা চলছে। মানুষ জানে না কোথায় তাদের নমুনা সংগ্রহের বুথ। কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল সরকারের অনুমোদন নিয়ে পরীক্ষা করলেও, তাদের শর্ত- আগে ওই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। মাত্রাতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে ওইসব হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
সরকারি হাসপাতালগুলোতে পরীক্ষা করা হলেও সেখানে অসম্ভব ভীড় এবং রিপোর্ট প্রাপ্তিতে দীর্ঘকাল লেগে যায়। অধিকাংশ মানুষ নিরাশ হয়ে ঘরে ফিরে যান পরীক্ষা করাতে ব্যর্থ হয়ে। তবে সবারই একটি কথা- প্রয়োজনীয় পরীক্ষার কিট সরবরাহ করা হচ্ছে না।
কিট সঙ্কটের কারণে উচ্চতম ঝুঁকিতে থাকা নারায়ণগঞ্জের করোনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে গত ৩ দিন ধরে। মন্ত্রী ও সরকারি দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের পরীক্ষার সঙ্কটের কথা স্বীকার করেছেন রোববার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে। #সূত্র : ভিওএ বাংলা