দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
রাজধানীতে কমলাপুরে রেলওয়ে স্টেশনের পুলিশ ব্যারাক মসজিদের পাশে একটি পানির পাম্প বসানোর নামে কোটি পাকার বেশি আত্মসাতের ঘটনায় অভিযোগ চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। গত ২২ ফেব্রুয়ারি দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে।
দুদকের জনসংযোগ দপ্তর গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, এই পাম্প বসাতে ৮০ লাখ টাকার মতো ব্যয় করা হয়েছে। অথচ বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে দুই কোটি টাকা।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অ্যাডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ারের অধীনে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের পুলিশ ব্যারাক সংলগ্ন মসজিদের কাছে দুই কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে পরিত্যক্ত পানির পাম্প বসানো হয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ দপ্তর গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, এই পাম্প বসাতে ৮০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। অথচ বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে দুই কোটি টাকা। পাম্পটি বসানোর পর থেকে পাম্প দিয়ে পানি ওঠানো সম্ভব হয়নি। ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে পাম্প বসানোয় দুর্নীতির অভিযোগে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নেয়ামুল আহসান গাজী এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করেছে।
দুদক জানায়, পাম্পটি বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। স্থানীয় জনগণ, মসজিদের ইমামের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় পাম্প দিয়ে তারা পানি ওঠাতে দেখেননি। বর্তমানে পাম্পটির তত্ত্বাবধানে রয়েছে রেলওয়ে ইলেকট্রিক শাখা। পাম্পটি মূলত একটি প্রকল্পের আওতায় অ্যাডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার চট্টগ্রামের অধীনে বসানো হয়েছে।
আরও জানা গেছে, পাম্প বসানো সংক্রান্ত যাবতীয় রেকর্ডপত্র অ্যাডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার চট্টগ্রামের কার্যালয় রয়েছে। চট্টগ্রাম অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সরবরাহ করতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। রেকর্ডপত্র পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট প্রতিবেদন দাখিল করবে। এদিন দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট সারাদেশে তিনটি অভিযান চালিয়েছে।
বাগেরহাট সদর উপজেলার ভট্টবালিয়াঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটার বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুদক সজেকা, খুলনার সহকারী পরিচালক মো. আল আমীনের নেতৃত্বে অভিযানে স্কুলের রেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখা যায়, স্কুলে ৫৫টি গাছ ছিল। স্কুলের সামনে গাছের দুটি গুঁড়ি ও কিছু লগ কাঠ পড়ে আছে। এগুলো দ্বিতীয়বারের মতো নিলামে বিক্রির প্রক্রিয়া চলমান।
জানা গেছে, স্কুলের বর্তমান এসএমসির সভাপতি ও সদস্যরা জানান, আগের সভাপতি আলীম চাকলাদার জোর করে স্কুলের বড় বড় গাছ কেটে নিয়ে যান। এ ব্যাপারে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক তামান্না আফরোজ তিয়াসা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস, বাগেরহাট কিছু জানে না মর্মে জানান।
স্কুলের প্রাপ্ত নথিতে উল্লিখিত গাছের লগ সংখ্যার সাথে স্কুলের সামনে পড়ে থাকা লগ সংখ্যার মিল নেই। অভিযানকালে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এছাড়া চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বাের্ডের উপসহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল প্রস্তুতপূর্বক গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে আরেকটি অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট দল।
জানা গেছে, এনফোর্সমেন্ট দলের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন হাটহাজারীর সহকারী প্রকৌশলীকে নিয়ে সরেজমিনে দেখা যায়- মিটার রিডাররা মিটার না দেখে অফিসে বসে রিডিংশিট লিখে অফিসে জমা দেন এবং অভিযোগকারী গ্রাহকের মিটারে চেয়ে আজ পর্যন্ত ২৪২ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল বেশি করা হয়েছে।
মিটার রিডারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে মর্মে নির্বাহী প্রকৌশলী জানান এবং চলতি মাসের বিল মিটারের রিডিং অনুযায়ী করে দেওয়া হবে বলে জানান। এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর দাখিল করা হবে।#