দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যায় জড়িত সন্দেহে আরো ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ আয়াদ। তারা টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা দুই মামলার সাক্ষী।
মঙ্গলবার র্যাব-১৫ সদস্যরা কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদেরকে আটক করেছে। র্যাব হেফাজতে নেয়ার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সিনহা হত্যায় সম্পৃক্ততা পাওয়ায় গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে তাদের বিকেল ৪টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে র্যাব।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে তাদের আটক করা হয়েছে। আটক তিনজনকে মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। পরে আদালতের নির্দেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর ফলে মেজর (অব.) সিনহা হতা মামলায় মোট আসামির সংখ্যা দাঁড়ালো ১২ জনে। এর মধ্যে দুজন এখন পলাতক আছে।
সিনহার হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা দুটি মামলার তদন্তভার ইতোমধ্যে র্যাবকে দেয়া হয়েছে। এত দিন মামলা দুটির তদন্ত পুলিশ করছিল।
উল্লেখ্য, ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা হয়। একটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়। এই মামলায় সরকারি কাজে বাধা ও গুলিতে নিহত হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। সেই মামলার আসামি করা হয় সিফাতকে। আর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রামু থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় আসামি করা হয় শিপ্রা দেবনাথকে।
পরে ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন বাদী হয়ে একই আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দলাল রক্ষিতসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত, এসআই নন্দলাল রক্ষিতসহ ৭ পুলিশ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। #