দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণের ৩০দিনের মধ্যে ৩টি খাল ও দুটি বক্স কালভার্ট থেকে ৫৭ হাজার টন বর্জ্য-মাটি অপসারণ করেছেন।
বুধবার ( ৩ ফেব্রুয়ারি) দুপেরে রাজধানীর শ্যামপুর খালে চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে শ্যামপুরের বড়ইতলা এলাকায় সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান ডিএসসিসির মেয়র।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ঢাকা ওয়াসার খালের দায়িত্ব নেওয়ার ৩০ ত্রিশ দিনের মধ্যে ৫৭ হাজার মেট্টিক টন বর্জ্য আমরা অপসারণ করেছেন। আগামী দু’মাসে দু্ই লাখ মেট্টিক টন অপসারণ করা হবে। ডিএসসিসির নিজস্ব অর্থায়নে ঢাকা ওয়াসার খালের আর্বজনা পরিস্কারের চালিয়ে চাচ্ছেন।
তিনি বলেন, গত ২ জানুয়ারি থেকে আমরা ব্যপক কর্মযজ্ঞ আরম্ভ করেছি। এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই সকল খাল পরিস্কার করার। নিষ্কাশনের ব্যবস্থার সচল করতে পারলে পানি প্রবাহ বারবে। পরবর্তীতে আমরা দীর্ঘ মেয়াদী যে পরিকল্পনা নিয়ে খালের পাশের অবৈদ দখল থেকে খালের জমি উদ্ধার করা হবে। সেখানে যাতায়াতের ব্যবস্থা, হেঁটে চলা, সাইকেল চালানোর ব্যবস্থা করা – – যাতে করে মানুষজন স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারে এবং সেখানে যতটা সম্ভব নান্দনিক পরিবেশ গড়ে তুলব।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, শ্যামপুর অনেক বড় খাল, এখানে শাখা-প্রশাখা বেশি। কিভাবে সেগুলো দখল, বদ্ধ হয়ে আছে আপনারা লক্ষ্য করেছেন। আবর্জনা-ময়লা স্তুপ হয়ে আছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, দীর্ঘ সময়ে এগুলো পরিস্কার করা হয়নি। পানি প্রবাহ বা পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা এখানে নেই। সামনের কর্মযজ্ঞ অত্যন্ত দুরূহ, ভয়াবহ পরিবেশ রয়েছে।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, এরই মধ্যে মান্ডা খালের পাশে থাকা জায়গা দখলমুক্ত করেছি। খালের প্রশস্ততার জন্য সিএস জরিপে যা আছে, মানচিত্রে যা আছে, আমরা সে অনুযায়ী সর্বোচ্চ জমি অবমুক্ত করব।
এই এলাকার পানি দূষণের বড় কারণ শিল্প বর্জ্য, শিল্প বর্জ্য খালে এসে পড়ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, সবমিলিয়ে যেভাবে অপরিকল্পিতভাবে সবকিছু করা হয়েছে, তাতে কঠিন অবস্থা, দূরূহ অবস্থা বিরাজ করছে। এই এলাকার ব্যাপক কারখানা গড়ে উঠেছে। এক সময় এই এলাকাকে শিল্প এলাকা হিসেবে দেওয়া হয়েছিল।
এ সময় ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাবেক সংসদ সদস্য সানজিদা খানম, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মোঃ বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের, মুন্সী মো. আবুল হাসেম, কাজী মোঃ বোরহান উদ্দিন ও প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মোঃ সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। /