দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
আগামী ১৭ জানুয়ারি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে র্যাব-৩ এর দায়ের করা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মো. সেলিমের ছেলে ডিএসসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলর (বরখাস্ত) এরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেছেন ঢাকা সিএমএম আদালত।
গত ২৮ অক্টোবর র্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় এরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা করেন।
রোববার (৩ জানুয়ারি) ওই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু আজ (৩ জানুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি।
পলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান আগামী ১৭ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের জন নতুন তারিখ ধার্য করেছেন।
জানা গেছে, গত ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে এরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।
ওই দিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে এরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। এরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ৬ মাসের সাজা দেন।
এরপর ২৮ অক্টোবর র্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় এরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা করেন। ওই মামলাটি তদন্ত করছেন চকবাজার থানা পুলিশ। /