দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
হাজী সেলিমের ছেলে এরফান সেলিম ও তার সহযোগি জাহিদুল মোল্লার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চার মামলায় ২৮ দিনের রিমান্ডের আবেদন পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তার।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ওই দুই আসামিকে পৃথক চার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭দিন করে মোট ২৮দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্তকারী কর্মকর্তা এ আবেদন জানান।
তবে আগামী ২ নভেম্বর মোহাম্মদ দিদার হোসাইনের আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে অস্ত্র মামলায় রিমান্ডের আবেদনসহ তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হবে।আর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান চৌধুরীর আদালতে মাদক মামলায় রিমান্ডের আবেদন এবং আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য ,গত ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে এরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে এরফান সেলিম, তার সহযোগি মো. জাহিদ, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।
ওইদিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র্যাব।
এ সময় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে এরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। এরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের সাজা দেন। এরপর বুধবার র্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় এরফান সেলিম ও তার সহযোগি জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেন। #