দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
এবার শান্তিতে নোবেল পেল বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। জাতিসঙ্ঘের সহায়তা সংক্রান্ত একটি শাখা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। এটি ক্ষুধা ও খাদ্য নিরাপত্তার সাথে জড়িত বিশ্বের বৃহত্তম সংস্থা। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নিজস্ব তথ্যমতে, সংস্থাটি প্রতি বছর ৭৫টি দেশে আট কোটি লোককে খাদ্য সহায়তা দান করে।
সংস্থাটির সদর দফতর রোমে অবস্থিত। সারা বিশ্বে এর ৮০টিরও বেশি শাখা আছে। এগুলোর মাধ্যমে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এমন সব মানুষকে সাহায্য করে, যারা নিজেদের জন্য এবং পরিবারের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ খাবার উৎপাদন কিংবা আহরণ করতে অক্ষম।
সংস্থাটি জাতিসঙ্ঘ উন্নয়ন গ্রুপের নির্বাহী কমিটির সদস্য। নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার প্রথম শর্ত কারো দ্বারা মনোনীত হওয়া। নির্বাচিত ৩ হাজার জনকে মনোনয়ন দেয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এই মনোনয়নকারীরা যাদের মনোনীত করে, তাদেরকে নোবেল কমিটি পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করবে।
মনোনয়ন নিয়ে প্রতিবারই আলোচনা হয়। এবারও হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনদের মতো রাষ্ট্রনায়কদের মনোনয়ন এ বছর আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কেউ ধারণা করেছিলেন, ট্রাম্প পুরস্কারটি জিতেও যেতে পারেন। কারণ ইসরায়েল আর আরব আমিরাতের মধ্যে শান্তি আনার দুতিয়ালি করেছেন তিনি।
নোবেল পুরস্কার দেয়ার জন্য এ বছর রেকর্ড পরিমাণ মনোনয়ন পাওয়া গিয়ে ছিল। ১৯০১ সাল থেকে প্রায় প্রতিবছর পুরস্কারটি দেয়া হয়েছে। বিশ্বযুদ্ধ আর কয়েক বছর বাদে প্রতিবছর নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে কেউ না কেউ। এ বছর মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল ৩১৮টি। ইতিহাসে এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ। ২০১৬ সালে সবচেয়ে বেশি দেয়া হয়েছিল- ৩৭৬টি। এবারে মনোনয়ন পেয়েছেন ২১১ জন ব্যক্তি ও ১০৭টি সংগঠন।
নোবেল শান্তি পুরস্কার থেকে কোনো নমুনা বের করা কঠিন। কয়েক বছর পর পর কোনো সংগঠন পুরস্কার পায়। ব্যক্তির থেকে সংগঠনের প্রভাব বিশ্বজুড়ে যে বছর বেশি থাকে, সংগঠনের শান্তি পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা ততই বেড়ে যায়। ১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পুরস্কার পায় রেডক্রস। ২০০১ সালে নাইন ইলেভেনের ঘটনার পর পুরস্কার পায় জাতিসঙ্ঘ।
সর্বশেষ ২০১৭ সালে কোনো সংগঠন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পায়। সেই বছর শান্তিতে নোবেল পায় ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবোলিশ নিউক্লিয়ার উইপন- আইসিএএন। পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের দিক নিয়ে জনমত গড়ে তোলা ও চুক্তির মাধ্যমে এর ব্যবহার বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় তাদেরকে এ পুরস্কার দেয়া হয়। এ বছর সে রকমেই একটি ঘটনা ঘটল।#