দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
এবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ’র অগ্রণী ব্যাংক লি: বঙ্গবন্ধু এভিনিউ শাখা ঢাকা থেকে মো. মোছাব্বির নামে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একজন ভুয়া কমিশনারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২ টায় দুদকের ভুয়া কমিশনার মো. মোছাব্বিরকে গ্রেফতার করা হয়। গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান, দুদকের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।

তিনি আরো জানান, দুদকে অভিযোগ আসে যে, দুদকের মনোগ্রাম সংবলিত প্যাডে দুদক কমিশনারের নাম, স্বাক্ষর ও পদবি ব্যবহার করে জনৈক এক বা একাধিক ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন ঔষুধ কোম্পানিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে দুদকের ম্যাগাজিন প্রকাশের নামে বিজ্ঞাপন চেয়ে অর্থ দাবি করছেন।

দুদক বিষয়টি অবহিত হয়ে প্রতিষ্ঠানটির গোয়েন্দা অনুবিভাগের পরিচালক মীর মোঃ জয়নুল আবেদীন শিবলীর তত্বাবধানে দুদকের উপপরিচালক এ.কে. এম মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি টিম গঠন করে। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন উপপরিচালক মোঃ মশিউর রহমান ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।

এই টিম তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে নিশ্চিত হয় যে, একাধিক প্রতারক এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে মানুষকে ঠকিয়ে অর্থ আদায় করছে। দুদক টিম জানতে পারে বৃহস্পতিবার (আজ ) প্রতারক চক্রের এক সদস্য অগ্রনী ব্যাংক বঙ্গবন্ধু এভিনিউ শাখায় এসে প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত এই টাকা উত্তোলন করবেন।

পরে আজ সকাল থেকেই দুদক টিমের সদস্যরা ব্যাংকটির আশে-পাশে ওঁৎ পেতে থাকে। প্রতারক মোঃ মোছাব্বির হোসেন ব্যাংকে আসলেই দুদক টিম তাকে চ্যলেঞ্জ করে এবং ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ টাকা জমার বিষয়টি তুলে ধরে এবং তাৎক্ষণিকভাবে তাকে গ্রেফতার করে।

দুদক নিশ্চিত হয় দুদকের হাতে ২০১৭ সালে গ্রেফতার হওয়া প্রতারক মোঃ নজরুল ইসলান নাঈমের টিমের সদস্য এই মোছাব্বির হোসেন। এর আগে ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল একই জাতীয় অপরাধে মোঃ নজরুল ইসলাম নাইমের বিরুদ্ধে রামপুরা থানা মামলা করেছিল দুদক, যার নং ২৮, তারিখ: ১৯-৪-২০১৭ এবং ঐ সময় উক্ত মামলায় রামপুরা হতে তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। ঐ মামলাটি এখনও বিচারাধীন।

এ প্রেক্ষাপটে আজ দুদকের উপপরিচালক এ. কে. এম মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে দন্ডবিধির ৪০৬/৪৬৮/৪৭১/ ৪৭৬/১০৯ ধারায় মোঃ নজরুল ইসলাম নাঈম ও মোঃ মোছাব্বিরের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন । # কাশেম