দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক
ট্রাম্প প্রশাসন শিকাগোতে ন্যাশনাল গার্ড সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে। অপরাধ ও অভিবাসন দমন জোরদারের অংশ হিসেবে কয়েক সপ্তাহ ধরে এ পরিকল্পনা চলছে। মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে।
বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত অজ্ঞাতপরিচয় কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেন্টাগন সেপ্টেম্বরের শুরুতেই দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর শিকাগোতে কয়েক হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।
তবে পেন্টাগন এসব প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করেনি। এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা ভবিষ্যৎ অভিযানের বিষয়ে কোনো অনুমান করতে চাই না।’
পরিচয় না প্রকাশের শর্তে তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিরক্ষা বিভাগ একটি পরিকল্পনাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ে ফেডারেল সম্পদ ও কর্মীদের সুরক্ষায় সর্বদা পরিকল্পনা তৈরি করে।’
এর আগে চলতি মাসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছিলেন।
সেখানে শিগগিরই এসব সদস্য অস্ত্র বহন শুরু করবে বলে আরেকজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন। এরপর এই প্রতিবেদনগুলো এলো।
গত শুক্রবার ট্রাম্পও জানিয়েছিলেন, ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন প্রধান শহর শিকাগো ও নিউইয়র্কেও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের শহরগুলোকে খুবই নিরাপদ করব।
আমার ধারণা, শিকাগো হবে আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য, তারপর আমরা নিউইয়র্ককে সহায়তা করব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিকাগোতে সম্ভাব্য এই মোতায়েন জুনে লস অ্যাঞ্জেলেসে ট্রাম্পের বিতর্কিত অভিযানের ধাঁচে হতে পারে। অঙ্গরাজ্য সরকারের আপত্তি সত্ত্বেও ওই সময় তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার চার হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য ও ৭০০ সক্রিয় মেরিন পাঠিয়েছিলেন।
এ ছাড়া এটি অননুমোদিত অভিবাসীদের লক্ষ্য করে অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থার (আইসিই) অভিযানের বিস্তৃত কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে।
তবে ইলিনয়ের গভর্নর জে বি প্রিৎজকার ও শিকাগোর মেয়র ব্র্যান্ডন জনসন—দুই ডেমোক্র্যাটই এ পরিকল্পনা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
অন্যদিকে মেয়র জনসন বলেন, নগর প্রশাসন ট্রাম্পের পক্ষ থেকে সেনা মোতায়েন নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বার্তা পায়নি। তিনি এ ধরনের পদক্ষেপকে ‘অসমন্বিত, অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেন।
শিকাগো পুলিশের তথ্য মতে, ২০২৪ সালে শহরে ৫৭৩টি হত্যাকাণ্ড রেকর্ড করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮ শতাংশ কম।