দূরবীন নিউজ ডেস্ক :
জনপ্রশাসন বিভাগের উপ-সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১৫ চালককে সচিবালয়ের আশপাশে হর্ন বাজানোর অপরাধে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টা থেকে ৩টা পর্যন্ত এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজিদ।
তিনি বলেন, নীরব এলাকায় হর্ন বাজানোর অপরাধে ১৫টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি জিপ ও কার এবং ৮টি মোটরসাইকেল রয়েছে। আড়াই ঘণ্টার অভিযানে সাড়ে ৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কাজী তামজিদ বলেন, এসব গাড়ির তালিকায় সরকারি গাড়ি, জনপ্রশাসন বিভাগের উপসচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি রয়েছে। বাকিগুলো মোটরসাইকেল।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রমও চলছে।
গত ১৫ ডিসেম্বর সচিবালয়কে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করা হয়, যা কার্যকর হয়েছে ১৭ ডিসেম্বর থেকে। এই নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন এলাকার মধ্যে রয়েছে সচিবালয় সংলগ্ন জিরো পয়েন্ট, পল্টন মোড় ও সচিবালয় লিংক রোড হয়ে জিরো পয়েন্ট। এই এলাকায় চালকদের হর্ন না বাজানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সরকার।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পর এদিনই প্রথমবারের মতো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হলো।
‘নীরব এলাকা’ ঘোষণার প্রথম দিন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সবাইকে আইন মেনে চলার আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে এই এলাকায় হর্ন বাজানোর জরিমানা ও শাস্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আইন অমান্যকারীকে প্রথমে ১ মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। পরবর্তীতে একই অপরাধের জন্য ৬ মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।’ #