দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
উন্নয়নের সুফল সমাজের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পরিকল্পনাবিদদের প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। ১৫ জানুয়ারি বি.আই.পি. মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বি.আই.পি.) বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২০এ অভিমতব্যক্ত বরা হয়।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ রাসেল কবিেের সঞ্চালনায় বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ।
বি.আই.পি.-র ১৪তম কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান ২০২০ সালে বি.আই.পি.-র বিভিন্ন কর্মকান্ড সম্পর্কে একটি বিশদ প্রতিবেদন পাঠ করেন।
তিনি বলেন, পরিকল্পনা পেশার প্রকৃত অনুশীলন নিশ্চিত করবার মাধ্যমে উন্নয়নের সুফল সমাজের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। ফলে পরিকল্পনাবিদদের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে পেশাগত দায়বদ্ধতার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রেখে সমাজ বিনির্মাণে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
পরিকল্পনাবিদদের সামনে বি.আই.পি.-র কোষাধ্যক্ষ পরিকল্পনাবিদ তৌফিকুল আলম বিগত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বি.আই.পি.-র আয়-ব্যয়ের পর্যালোচনা পূর্বক পূর্ণাঙ্গ আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
বি.আই.পি. উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. গোলাম মর্তুজা বলেন, বাংলাদেশে পরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বরোপ করা দরকার। উপজেলা পর্যায়ে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে শহর ও গ্রামীণ উন্নয়নের যে উদ্যোগ সরকারের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হচ্ছে টেকসই ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তা অত্যাবশ্যকীয়।
মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন পক্রিয়ায় নগর ও গ্রামীন পরিকল্পনাবিদদের অংশগ্রহন নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব, যেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সঠিক পথে পরিচালিত হয়। তিনি আশা করেন বি.আই.পি.-র বর্তমানে কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রতিকুল পরিবেশের মধ্যেও এসব বিষয়ে কর্ম তৎপরতা অব্যাহত রাখবে।
বি.আই.পি.-র সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, পেশাগত উন্নয়ন ও অগ্রগতি সবসময়ই একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া যা কালের পরিক্রমায় নানামুখী চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াসে লিপ্ত।
প্রবীণ পরিকল্পনাবিদদের অভিজ্ঞতা এবং নবীন পরিকল্পনাবিদদের উদ্যমকে পাথেয় করে সময়ের পরিক্রমায় বাংলাদেশে পেশা হিসেবে নগর পরিকল্পনা বিকাশ লাভ করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কার্যক্রমে সম্মানিত সদস্যবৃন্দের কার্যকর অংশগ্রহণ ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা বিশেষ জরুরী। এ লক্ষ্যে দেশের সকল পেশাজীবী পরিকল্পনাবিদদের সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ থাকবার আহ্বান জানান তিনি।
পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম চট্রগ্রামের কথা তুলে ধরে বলেন পাহাড় কেটে বস্তি বানানো যাবে না। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক পরিকল্পনাবিদ মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন, পরিকল্পনাবিদদের হাতে দেশ থাকলে, দেশ সামনের দিকে আগাবে।
পরিকল্পনাবিদ ফজলে রেজা সুমন বলেন, সামনে যেসব পরিকল্পনা প্রকল্প আসবে সেসব প্রকল্পগুলো যেন জনকল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে সে লক্ষ্যে পরিকল্পনাবিদদের কাজ করতে হবে।
দ্রুত নগরায়নের ফলে যানজট, জলাবদ্ধতা, পরিবেশ দূষণ যথা বায়ু, পানি, শিল্প ও শব্দ দূষণ, বর্জ্যের অব্যবস্থাপনা, সবুজায়ন হ্রাস পাওয়া, প্রাকৃতিক জলাধার এর দখল-দূষণ এবং নগর এলাকার তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সংক্রামক- অসংক্রামক সকল রোগ দিনে দিনে বাড়ছে। এই বাস্তবতায় আগামী দিনের বাংলাদেশে বাসযোগ্য নগর ও জনবসতি গড়ে তুলবার লক্ষ্যে পরিকল্পনাবিদদের কাজ করার সূযোগ বাড়াতে হবে হবে বলে সভায় উপস্থিত পরিকল্পনাবিদ্গণ মতামত প্রদান করেন।/প্রেস বিজ্ঞপ্তি।