দূরবীণ নিউজ ডেস্ক:
ইসরাইলে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিয়ান নেতাটিয়াহুর ১২ বছরের শাসনকালের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। বিরোধী দলের নেতা ইয়ার লাপিদ ইসরাইলের রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছেন, তিনি জোট সরকার গঠন করতে সক্ষম।
ইসরাইলের এই রাজনৈতিক নাটক নেতানিয়াহুর জন্য বেশ বেদনাদায়ক হচ্ছে। তিনি কেবল ক্ষমতাই হারাচ্ছেন না, সেইসাথে অপরাধমূলক তৎপরতা, প্রতারণা, ঘুষ গ্রহণ, আস্থার লঙ্ঘনসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে মামলার মুখেও পড়েছেন।
এদিকে ইয়াশ আতিদ পার্টির নেতা লাপিদকে সরকার গঠনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি রুভেন রিভলিন। দুই বছরের কম সময়ের মধ্যে ইসরাইলের চতুর্থবারের মতো নির্বাচনে কোনো দল সরকার গঠনের মতো ভোট না পাওয়ায় দেশটিতে বড় ধরনের সঙ্কট সৃষ্টি হয়।
বুধবার (২ জুন) দিবাগত মধ্যরাতের সামান্য আগে টুইটারে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে লাপিদ বলেন, তিনি সমঝোতার ব্যাপারে রাষ্ট্রপতিকে অবগত করেছেন।
সাবেক টিভি প্রেজেন্টার ও সেক্যুলার মধ্যপন্থী লাপিদ রোববার কট্টর ধর্মীয়-জাতীয়তাবাদী নাফতালি বেনেটের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন লাভ করেন। এই টেক-মাল্টিমিলিয়নিয়ার ইতোপূর্বে প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
লাপিদ ও বেনেটের মধ্যকার সমঝোতা অনুযায়ী, তারা পর্যায়ক্রমে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। প্রথম দু’বছর বেনেট প্রধানমন্ত্রী হবেন, পরের দু’বছর লাপিদ থাকবেন ওই দায়িত্বে।
তবে এই সমঝোতা ইসরাইলি পার্লামেন্ট নেসেটে অনুমোদিত হতে হবে। আগামী সাত থেকে ১২ দিনের মধ্যে সেখানে ভোটাভুটি হবে।
এত দিন প্রধানমন্ত্রী থাকায় বেশ কিছু সুবিধা নিয়ে এসব মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছেন। এখন প্রধানমন্ত্রিত্বের অবসান ঘটলে তা আর পাবেন না।
নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টিই সর্বশেষ নির্বাচনে সর্বাধিক আসন পেয়েছিল। কিন্তু তার একসময়ের সহজাত মিত্র বেনেটের কট্টর ডানপন্থী দলটি তাকে সমর্থন না দেয়ায় তিনি সরকার গঠন করতে পারেননি।
# সূত্র : আল জাজিরা