দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি তাদের সামরিক মহড়ায় ভূগর্ভ থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। বুধবার (২৯ জুলাই) আইআরজিসি’র জনসংযোগ পরিদপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সামরিক মহড়ার দ্বিতীয় দিনে শত্রুর কল্পিত অবস্থানে আকাশ এবং সমুদ্র পথে হামলা চালানো হয়।
মহানবী (স)-১৪ নামে এ মহড়ার চূড়ান্ত পর্ব শুরু হয়েছে গত ২৮ জুলাই এবং ইরানের হরমুজগান প্রদেশ, কৌশলগত হরমুজ প্রণালী ও পারস্য উপসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় তা চলে। মঙ্গলবার আইআরজিসি দীর্ঘপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছিল।
আইআরজিসি’র বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, বিমান সেনারা আধুনিক কলাকৌশল প্রয়োগ করে এবং সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শন করে। এর মধ্যদিয়ে শত্রুর সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলায় ইরানের এই এলিট ফোর্সের সামরিক সক্ষমতার চিত্র ফুটে ওঠে। আইআরজিসি যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছে তারও প্রশংসা করা হয়েছে বিবৃতিতে।
এদিকে আইআরজিসি’র সামরিক মহড়া চলার সময় পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোতে মোতায়েন মার্কিন সেনাদেরকে বাংকারে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
পারস্য উপসাগর এবং কৌশলগত হরমুজ প্রণালীর বিস্তীর্ণ এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার ইরানের সামরিক মহড়ার সময় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এ কারণে অনেকটা ভয়েই মার্কিন সেনাদেরকে বাংকারে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন এবং আরো কিছু সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি’র সাংবাদিক নাফিসে কোহনাভার্দ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে দেয়া এক পোস্টে একথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত এবং কাতারে মোতায়েন সেনাদেরকে স্বল্পসময়ের জন্য উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছিল। নাফিসে বলেন, তার সূত্রগুলো তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
অন্য কয়েকটি সূত্রও বলেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-জাফরা এবং কাতারের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন মার্কিন সেনাদেরকে বাংকারে থাকতে বলা হয়েছিল। # পার্সটুডে