দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
পুরান ঢাকার এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ৪ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
রোববার (২৮ মার্চ) আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এই স্থগিতাদেশ জারি করেন।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
আজ আদালতে আসামি ইরফান সেলিমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
জানা যায়, গত ১৮ মার্চ হাইকোর্ট ইরফান সেলিমকে জামিন দেন। ওই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট পক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। আজ রাষ্ট্র পক্ষের আবেদন আমলে নিয়ে আসামি ইরফান সেলিমের জামিন স্থগিতাদেশ জারি করেন চেম্বার জজ আদালত।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর ভোরে ভুক্তভোগী নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নিজেই বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
ওইদিন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম আলী মিয়া জানান, এই মামলায় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম (৩৭), তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ (৩৫), হাজী সেলিমের মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু (৪৫), গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ (৩০) অজ্ঞাতপরিচয়ের দুই তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ইরফানের গাড়ি ওয়াসিমকে ধাক্কা মারার পর নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিম সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামান এবং গাড়ির সামনে দাঁড়ান। নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি।
তোকে এখনই মেরে ফেলব’। এরপর বের হয়ে ওয়াসিমকে কিল-ঘুষি মারেন এবং তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। তারা মারধর করে ওয়াসিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যান। তার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডির ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যান। মামলার পর র্যাব ইরফান সেলিমকে তার বাসা থেকে আটক করে।
গত ২৭ জানুয়ারি এ মামলায় রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। সেই রুলের রায় ইরফানকে জামিন দেন হাইকোর্ট। ওই জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।/