দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
চেক প্রতারণার মামলায় ইমাম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীকে এক বছরের কারাদন্ড এবং ওই চেকের সমপরিমাণ ৯ কোটি টাকা জরিমানা করেছেন বিচারিক আদালত। যমুনা ব্যাংকের চট্টগ্রামের কদমতলী শাখার পক্ষ থেকে ইমাম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার মামলাটি দায়ের করা হয়। ওই মামলার শুনানি শেষে গত ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম দ্বিতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হাসান আসামীকে অভিযুক্ত করে এক বছরের কারাদন্ড এবং ৯ কোটি টাকা জরিমানার রায় ঘোষণা করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দন্ডপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আলী নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার সুরাইয়া ম্যানসনের মৃত বদিউর রহমানের ছেলে। তিনি ইমাম গ্রæপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইমাম ডায়িং নিটিং প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আরও জানান, অভিযুক্ত আসামী মোহাম্মদ আলী ইমাম ডায়িং নিটিং প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং ইন্ডাস্ট্রিজের নামে যমুনা ব্যাংকের কদমতলী শাখা থেকে ১৯ কোটি টাকার ঋণ সুবিধা নেন। তার বিপরীতে ব্যাংককে ৫ কোটি এবং ৪ কোটি টাকার পৃথক দুটি চেক দেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে চেকটি নগদায়নের জন্য উপস্থাপন করা হলে আসামীর অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ জমা না থাকায় তা ডিজঅনার হয়। পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আদালতে চেক প্রতারণার মামলা দায়ের করে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী বলেন, বর্তমানে কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামী মোহাম্মদ আলী পলাতক। তবে যেদিন তিনি গ্রেফতার হবেন কিংবা উপযুক্ত আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন সেদিন থেকেই কারাদন্ড কার্যকর হবে। # কাশেম